সংক্ষিপ্ত

মঙ্গলবার আফগানিস্তানে পাক বিরোধী বিক্ষোভ সামলাতে গুলি ছুড়েছিল তালিবানরা। হেরাত শহরে দুই আফগান নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে এবং ৮ জন আহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার প্রায় গোটা আফগানিস্তান জুড়েই তীব্র প্রতিবাদে ফেটে পড়েছিলেন আফগান জনগণ। পঞ্জশিরে তালিবানদের হামলা এবং আফগানিস্তানের বিষয়ে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন হাজার হাজার মানুষ। রাজধানী কাবুলের পাশাপাশি ঘোর এবং হেরাত শহরেও বিশাল প্রতিবাদদ মিছিল হয়েছিল। প্রতিবাদীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য তালিবানরা গুলি ছুড়েছিল। তারা আকাশে গুলি ছুড়েছে বলে জানালেও, তালিবানি গুলির আঘাতে হেরাত শহরে অন্তত দুইজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। 

মঙ্গলবার রাতেই আফগান সংবাদমাধ্যম জানায়, পশ্চিম আফগানিস্তানের শহর হেরাতে, পাকিস্তান-বিরোধী বিক্ষোভের মধ্যেই দুইজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ওই দুই প্রতিবাদকারীকেই শহরের কেন্দ্রীয় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তবে ডাক্তাররা জানান, আনার আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। ডাক্তাররা আরও জানান, তাদের মৃতদেহে বুলেটের ক্ষত রয়েছে। দুইজনের মৃত্যু ছাড়াও, আরও আটজন প্রতিবাদী গুলির আঘাতে আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আফগান সংবাদমাধ্যম। 

"

মঙ্গলবার, আফগানিস্তানে বহু আফগান নাগরিক, বন্দুক ওঁচানো তালিবান যোদ্ধাদের সামনেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে রাস্তায় নেমেছিলেন। তালেবানদের আফগানিস্তান দখলে, পিছন থেকে সহায়তা করছে পাকিস্তান, তা এখন দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। আফগান রাজনীতিতে পাকিস্তান এবং পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর নাক গলানোর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন তাঁরা। পাকিস্তান এবং আইএসআই-এর মৃত্যু এবং স্বাধীনতার দাবি করে, কাবুলের পাক দূতাবাসের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন আফগানরা, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন মহিলা। 

স্থানীয় সংবাদ সংস্থা এবং বিভিন্ন সাংবাদিকরা সেই প্রতিবাদ বিক্ষোভের ছবি-ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন। সেইসব ছবি-ভিডিওতে প্রতিবাদকারীদের পাক বিরোধী প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিল করতে দেখা গিয়েছে। 'পাকিস্তানের মৃত্যু চাই', 'পাকিস্তানি পুতুল সরকার চাই না' এবং 'পাকিস্তান, আফগানিস্তান ছাড়ো', 'আইএসআই দূরে থাকো'  - এই ধরণের স্লোগানও শোনা গিয়েছে।

আরও পড়ুুন - বিশাল ভূমিকম্পে কেঁপে গেল কয়োকশো কিলোমিটার এলাকা - রিখটার স্কেলে মাত্রা ৭, জারি সুনামির সতর্কতা

আরও পড়ুন - অকুতোভয় আফগান মহিলাদের রুখতে ব্যর্থ তালিবানি বন্ধুকও - খোদ রাজধানীতেই বিক্ষোভ, দেখুন

আরও পড়ুন - পঞ্জশির কাদের দখলে, প্রবল ধোঁয়াশা - তালিবানদের সঙ্গেই লড়ছে আল-কায়েদা, পাকিস্তানও

এরপরই প্রতিবাদের তীব্রতায় আতঙ্কিত তালিব যোদ্ধারা গুলি চালাতে শুরু করেছিল। সেই ঘটনার খবর করতে যাওয়া সাংবাদিকদেরও হেনস্থা করা হয়। কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়, বাকিদের মারধর করে হুমকি দিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। অনেত সাংবাদিকের ক্যামেরা, প্রেস কার্ড কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভের ছবি-ভিডিও তোলার 'অপরাধে' সাংবাদিকদের রাস্তায় নাকে খত দেওয়ানো হয়েছে, লাথি মারা হয়েছে বলেও অভিযোগ।

YouTube video player