সংক্ষিপ্ত

উদ্ধার করা ভারতীয়দের প্রতিবেশী দেশ পোলতাভায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার মন্ত্রক বলেছে সুমি রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের সাক্ষী। 

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের (Ukraine) সুমি (Sumy) ওব্লাস্টে কয়েকদিন ধরে আটকে থাকা সমস্ত ভারতীয় ছাত্রদের (Indian students) সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার এই খবর জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। উদ্ধার করা ভারতীয়দের (evacuated from Sumy) প্রতিবেশী দেশ পোলতাভায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার মন্ত্রক বলেছে সুমি রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের সাক্ষী। সেখানে ভারতীয়রা একেবারেই নিরাপদ নন।

টুইট করে বিদেশমন্ত্রক জানায় Happy to inform that we have been able to move out all Indian students from Sumy. They are currently en route to Poltava, from where they will board trains to western Ukraine. Flights under #OperationGanga are being prepared to bring them home,” 

বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন সুমি থেকে তিন ঘন্টার দূরত্বে রয়েছে পোলতাভা। সেখানে ভারতীয় পড়ুয়ারা নিরাপদে থাকবেন। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে ভারতীয় পড়ুয়ারা জানান, সুমি থেকে বেরোতে পেরে তাঁরা নিশ্চিন্ত বোধ করছেন। সুমির পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। সেখানে একটানা বোমা হামলা ও গুলি চলছে। তিন ঘন্টা ধরে কনকনে ঠান্ডার মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে বাস পেয়েছেন তাঁরা। অবশেষে প্রাণ বাঁচাতে পেরে শান্তি পেয়েছেন। 

এদিকে মঙ্গলবার সকালে জানা যায় ইউক্রেনের সুমি শহরে আটকে পড়া ভারতীয়দের স্থানান্তরিতকরণের প্রক্রিয়া বন্ধ করা হয়েছে। ভারতীয়দের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল যে রাস্তা ধরে, সেখানে বোমা হামলার খবর পাওয়ায় (ceasefire fails) উচ্ছেদ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভারতীয় দূতাবাসের পদক্ষেপ ছিল রুশ সামরিক বাহিনী যুদ্ধবিরতি(Russia has declared a third ceasefire) ঘোষণা করার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুমি থেকে ছাত্রদের সরিয়ে দেওয়া। দূতাবাস থেকে পাঠানো বাসে ছাত্রদের নিয়ে আসার সময়ই উদ্ধার অভিযান বন্ধ করার নির্দেশ আসে। 

ভারতীয়দের স্থানান্তকরণের ক্ষেত্রে প্রথমেই মেয়েদের সরানোর সিদ্ধান্ত হয়। ডাচ সীমান্তে যাওয়ার পথে গোলাগুলির খবর মেলার পর উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়। মেয়েদের বাসটিকে ফিরিয়ে আনা হয় সুমিতে। সমস্ত ছাত্রদের তাদের বাঙ্কারে ফিরে যেতে বলা হয়। নাগরিকদের পালাতে সাহায্য করার জন্য রাশিয়া ইউক্রেনের সমস্ত প্রধান শহরে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে। রুশ সামরিক সূত্র জানায়, লোকজনকে সরিয়ে নিতে নিরাপত্তা করিডোর স্থাপন করা হবে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার সাথে সাথে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে আটকে পড়া লক্ষাধিক মানুষের প্রত্যাশা ছিল এই করিডর দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারবে তারা। 

মানবিক করিডর তৈরির জন্য সময় দিতে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে রাশিয়া। সোমবার ইউক্রেনের রাজধানী শহর কিয়েভ এবং অন্যান্য তিনটি বড় শহরে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে বলে খবর মেলে। রাশিয়ার সংবাদসংস্থা, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত প্রতিবেদন জানায়, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ব্যক্তিগতভাবে একটি অনুরোধের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।