সংক্ষিপ্ত
তালিবান সূত্রে জানান হয়েছে হাইবাতুল্লাহ শনিবার কান্দাহারের দার-উল-হামিকা মাদ্রাসায় গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি তালিবানদের যোদ্ধাদের উদ্দেশ্যেই ভাষণ দেন।
গোটা বিশ্ব একপ্রকার মেনে নিয়েছিল তালিবান সুপ্রিমো হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা (Taliban Supreme Leader Haibatullah Akhundzada ) নিহত হয়েছে। তালিবানরা (Taliban) কাবুল দখলের পরেই তাঁকে যখন জনসমক্ষে দেখা যায়নি- তখন আরও জোরাল হয়েছিল হাইবাতুল্লার মৃত্যুর খবর। কিন্তু তার কিছুদিন যেতে না যেতেই তালিবান প্রধান হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা জানিয়ে দিলেন তিনি বেঁচে আছেন। আর বহাল তবিয়েতেই রয়েছে। শনিবার হাইবাতুল্লার কান্দাহারে একটি জনসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানে তিনি দেশের জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণও দিয়েছেন। তালিবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর এটাই ছিল তার প্রথম জনসভা।
তালিবান সূত্রে জানান হয়েছে হাইবাতুল্লাহ শনিবার কান্দাহারের দার-উল-হামিকা মাদ্রাসায় গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি তালিবানদের যোদ্ধাদের উদ্দেশ্যেই ভাষণ দেন। যদিও তাঁর বক্তব্যে কোনও রকম রাজনৈতিক ছোঁয়া ছিল না। আফগানিস্তানে তালিবানদের জয়ের জন্য তিনি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেব। তিনি নিহত তালিবান যোদ্ধাদের শহিদ বলে উল্লেখ করেছেন। আখুন্দাজার এই সফর ঘিরে গোটা কান্দাহারে ছিল কড়া নিরাপত্তা। সংবাদ কর্মীদের প্রবেশের ওপর জারি করা হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। তাঁর দীর্ঘ বক্তৃতার মাত্র ১০ মিনিটের একটি অডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় শেযার করেছে তালিবানরা।
GAS Cylinder: গ্যাস এজেন্সিগুলির যোগসাজশ,গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে নয়া কালোবাজারির পর্দা ফাঁস পুলিশের
তালিবান সূত্রের খবর আখুন্দজাদা তালিবানদের শীর্ষ নেতা। আমির উল মুমিনীন হিসেবেই পরিচিত। আফগানিস্তানে তালিবানদের জয়ের পিছনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তালিবান সরকারে সরাসরি তিনি নেই। কিন্তু শেষ কথা তিনিই বলবেন। তাঁর সিদ্ধান্তই হবে শেষ সিদ্ধান্ত। তালিবান সরকারে তার যে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে সেই কথাও জানিয়েছেন এক তালিবান নেতা।
Jammu Kashmir: টহল দেওয়ার সময় প্রাণ গেল ২ ভারতীয় জওয়ানের, LOC-র কাছে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ
অগাস্ট মাসে তালিবানরা আফগানিস্তানের দখল নেয়। আমেরিকা ও মিত্র শক্তির বিরুদ্ধে শেষ হয়েছিল দুদশক ধরে চলা যুদ্ধ। তালিবানদের এই জয়ের পর সংগঠনের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্বকে জনসমক্ষে দেখা গেলেও হাইবাতুল্লাহকে দেখা যায়নি। তাই তার মৃত্যু নিয়ে জল্পনা চরমে পৌঁছেছিল। সম্প্রতি একটি টেলিভিষণে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় প্রবীন তালিবান নেতা আমির আল মুমিনিন জানিয়েছিলেন, পাকিস্তান বাহিনীর হামলাতেই এক বছর আগে শহিদ হয়েছেন হাইবাতুল্লাহ। একটা সময় শোনা গিয়েছিলে হাইবাতুল্লা পাকিস্তানের সেনা বাহিনীর হেফাজতে রয়েছে। নিরাপত্তা দিতেই পাক বাহিনী তাঁকে হেফাজতে নিয়ে বলেও গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। অনেকেই আবার দাবি করেছিলেন পাক সেনা বাহিনী তাঁকে হত্য়া করেছে। এবার সেই তত্বেই মান্যতা দিল তালিবানরা।
কিন্তু তারপর শনিবার তালিবান সূত্রেই দাবি করা হয়েছে হাইবাতুল্লাহ বেঁচে রয়েছেন। ২০১৬ সাল থেকেই তালিবানদের নেতা হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। দলের রাজনৈতিক,সামরিক ও ধর্মীয় বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তও নেন তিনি। যদিও শনিবারের ঘটনার পর কিছু তালিবান কর্মকর্তা জানিয়েছেন হাইবাতুল্লা খুব কমই জনসমক্ষে উপস্থিত হন। তিনি বরাবরই নিম্ন পাব্লিক প্রোফাইল মেনে চলেন। একমাত্র সংবাদ সংস্থা রয়টার্সই তার ছবি যাচাই করতে সক্ষম হয়েছে। যা ২০১৬ সালে তালিবানরা সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছিল। যদিও তালিবানরা এর আগে মোল্লা ওমরের মৃত্যুর খবর বেশ কয়েক বছর ধরে চেপে রেখেছিল। তাই হাইবাতুল্লাকে নিয়েও কিছু সংশয় রয়ে যাচ্ছে।