সংক্ষিপ্ত

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরই বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসেন। হাসিনার উদ্দেশ্য ছিল ভারত থেকে অন্যত্র চলে যাওয়ার।

 

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে মরিয়া বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এবার শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বতিল করে দিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী মহম্মদ ইউনুসের সরকার। যার কারণে শেখ হাসিনা আর দেশে ফিরতে পারবে কিনা তা নিয়ে উঠেগেল প্রশ্ন। তবে বাংলাদেশের এই পদক্ষেপে হাসিনার জন্য সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিল। কারণ বর্তমানে হাসিনা ভারতে রয়েছেন। এবার বিশ্বের অন্যকোনও দেশে তিনি আশ্রয় নিতে চাইলেও তাঁকে বড় সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে।

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরই বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসেন। হাসিনার উদ্দেশ্য ছিল ভারত থেকে অন্যত্র চলে যাওয়ার। ইংল্যান্ডে যেতে চেয়েছিলেন হসিনা। কিন্তু বিশ্বের কোনও দেশই হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে চায়নি। তারপর থেকে হাসিনা ভারতেই রয়েছেন বলে সূত্রের খবর।

হাসিনা আপাতত ভারতে থাকলেও এখনও স্থায়ী আশ্র. পাননি। মঙ্গলবার হাসিনা সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমনকী আওয়ামি সাংসদ মিলিয়ে ৯৭ জনের কূটনৈতিক পাসপোর্টও বাতিল করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এদিন ইউনুসের ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার হাসিনা ও বাকিদের পাসপোর্ট বাতিল করার সিদ্ধান্ত জানান। তাঁর দাবি জুলাই - আগস্টে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের সময় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হত্যাকাণ্ড ও গুমকাণ্ডে হাসিনার সঙ্গে যুক্ত ৯৭ জন। সেই কারণেই তাঁদের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে।

অন্যদিকে হাসিনাদেক ফেরত চেয়ে বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই ভারতের কাছে আবেদন জানিয়েছে। ভারত যদি হাসিনাকে ফেরত না দেয় তাহলে বাংলাদেশের তদন্তকারী সংস্থা এই দেশে এসে হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে - এমনই আলোচনা শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল করে ভারতের ওপরও চাপ বাড়াতে চাইছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।