সংক্ষিপ্ত
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক: ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে অনেকটা কারচুপি ঢুকে পড়েছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্তের পর এখন সেখানকার বিচারকরা ভারতে প্রশিক্ষণের জন্য আসবেন না। সেখানকার ৫০ জন বিচারক এবং বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির জন্য ভারতে আসার কথা ছিল কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পুরো কর্মসূচিই বাতিল করে দিয়েছে। ইউনুস সরকারের আইন মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেছেন যে, বিজ্ঞপ্তিটি বাতিল করা হয়েছে।
কি ছিল পুরো কর্মসূচি?
প্রকৃতপক্ষে, বাংলাদেশের ৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী জেলা ও দায়রা জজ, এর সমমানের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, যুগ্ম জেলা জজ, জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ এবং সহকারী জজদের ভারত প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে আসার কথা ছিল। বাংলাদেশের নিম্ন আদালতের ৫০ জন বিচারককে ১০ ফেব্রুয়ারি প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। এই বিচারকরা মধ্যপ্রদেশের জাতীয় বিচার বিভাগীয় একাডেমি এবং রাজ্য বিচার বিভাগীয় একাডেমিতে একদিনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতেন। ভারত সরকারকে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমস্ত খরচ বহন করার কথা ছিল।
দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার সম্পর্ক
বাংলাদেশের জোরালো আন্দোলনের পর গত বছর ৫ আগস্ট ২০২৪ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতন ঘটে। জোরালো আন্দোলনের কারণে শেখ হাসিনাকে পদ ত্যাগ করতে হয়েছিল এবং সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে নিয়েছিল। পরে ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। অন্যদিকে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনা বেড়েছে। অনেক মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। সেখানকার ইসকন মন্দিরের পুরোহিতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হিন্দুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে ভারত কঠোর আপত্তি জানিয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ভারত স্থিত হাইকমিশনে হামলার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।