সংক্ষিপ্ত
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। শেখ হাসিনার বিদেশ যাত্রার মধ্যেই জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সেনাপ্রধান বলেন, “আমি (দেশের) সব দায়িত্ব নিচ্ছি। অনুগ্রহ করে সহযোগিতা করুন।”
বাংলাদেশে সংঘর্ষ হিংসাত্মক মোড় নিয়েছে। হিংসায় ৩০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে। পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরমধ্যেই উঠে এসেছে সেদেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম। কে হতে চলেছেন! সূত্র জানায়, নোবেল বিজয়ী মহম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের নেতৃত্ব পেতে পারেন। সেখানকার পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে নিরাপদ স্থানে পৌঁছেছেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য নেন।
বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। পশ্চিমী দেশগুলো শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার পর শেখ হাসিনা সরকার উৎখাত হয়, তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন এবং ভারতে আশ্রয় নেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। শেখ হাসিনার বিদেশ যাত্রার মধ্যেই জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সেনাপ্রধান বলেন, “আমি (দেশের) সব দায়িত্ব নিচ্ছি। অনুগ্রহ করে সহযোগিতা করুন।”
সেনাপ্রধান আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ঘোষণা করার আগে তিনি রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের বলেন যে সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব নেবে। নোবেলজয়ী অধ্যাপক মহম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন এমন খবর এবার বেরিয়ে এসেছে। তার নাম নিয়ে মতৈক্য আছে বলে মনে হয়। তিনি দেশের একজন বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ এবং নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।
প্রধানমন্ত্রী পদে তার নাম নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে। বর্তমানে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারে ১৮ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ সরকারে প্রতিটি ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের রাখা হয়েছে। ব্যাংকিং, আইনজীবী, সাংবাদিকতা, শিক্ষা, প্রকৌশলসহ অনেক খাতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অন্তর্বর্তী সরকারে রাখা হয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।