সংক্ষিপ্ত

বাংলাদেশে ভোটের বয়স ১৭ বছর করার প্রস্তাবে রাজনৈতিক তোলপাড়। বিরোধী দলগুলির তীব্র প্রতিবাদ।

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভোটের বয়স কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকার ১৭ বছর বয়সীদের ভোট দেওয়ার অধিকার দেওয়ার প্রস্তাব রেখেছে। বর্তমানে ভোটের বয়স ১৮ বছর। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অনেক রাজনৈতিক দল প্রতিবাদ শুরু করেছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ভোটের বয়স কমানোর প্রস্তাবকে প্রোপাগান্ডা বলে অভিহিত করেছে এবং একে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছে। বিএনপি বলেছে, অনির্বাচিত সরকারের দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কোন অধিকার নেই। দ্রুত নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত।

বিএনপি বলেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কাজ হলো নির্ভরযোগ্যভাবে নির্বাচন করা এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংস্কার নিয়ে আমাদের কোন আপত্তি নেই, কিন্তু এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো অরাজকতা এবং অস্থিরতা। নির্বাচিত সরকার থাকলে এই সমস্যাগুলি অনেকটাই কমে যেত।

ইউনূসের এই বক্তব্যের পর শুরু হয়েছে বিতর্ক

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস সম্প্রতি প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে, বাংলাদেশে ভোটের বয়স কমিয়ে ১৭ বছর করা উচিত। একটি নির্বাচনী সংলাপ অনুষ্ঠানে মহম্মদ ইউনুস বলেছেন, যুবসমাজকে তাদের ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য আমার মনে হয় ভোটের বয়স ১৭ বছর করা উচিত।

কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ (এফবিএস)-এর সংলাপে ইউনূস প্রশ্ন করেছিলেন, আমি কি সেই বয়স বেছে নিতে পারি না পারি? ধরুন, আমি যুবসমাজকে শীঘ্রই ভোটার করার পক্ষে। তারা যত ছোট হবে, পরিবর্তনে তাদের তত বেশি আগ্রহ থাকবে, এটাই আমার যুক্তি। যুবসমাজ তাদের শক্তি দেয়। আমি জানি না নির্বাচন সংস্কার কমিশন কী সুপারিশ করবে। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ মানুষ যদি প্রস্তাবিত বয়স পছন্দ করে, তাহলে আমি ঐকমত্য গড়ে তোলার জন্য এটি গ্রহণ করব।