সংক্ষিপ্ত
ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে দুর্গাপুজো নিয়ে কিছু ফতোয়া জারি করা হয়েছে। জানানো হয়েছিল দুর্গামণ্ডপগুলির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মণ্ডপে যাতে হামলা না চলে, তার জন্য স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে। কিন্তু তার পরেও হামলার ঘটনা অব্যাহত।
হাসিনা সরকার পতনের পরই বাংলাদেশে হামলার মুখে পড়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুরা। তবে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার আশ্বাস দিয়েছে যে বাংলাদেশে আগের মতোই দুর্গা পুজো হবে। প্রশ্ন উঠছে নতুন এই বাংলাদেশে কি দুর্গাপুজো হবে?
ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে দুর্গাপুজো নিয়ে কিছু ফতোয়া জারি করা হয়েছে। জানানো হয়েছিল দুর্গামণ্ডপগুলির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মণ্ডপে যাতে হামলা না চলে, তার জন্য স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে, যারা মণ্ডপ পাহারা দেবেন। স্থানীয় বাসিন্দা বা পুজোর সঙ্গে যুক্ত যারা, তাদেরই স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে নিয়োগ করা হবে। বিভিন্ন শিফটে তাদের এই দায়িত্বভার দেওয়া হবে।
কিন্তু তার পরেও হামলার ঘটনা অব্যাহত। ফরিদপুর জেলার ভাঙা উপজেলার একটি মন্দিরে নির্মীয়মান ৮টি দুর্গাপ্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে মন্দিরের ১৪টি প্রতিমার মধ্যে ৮টির হাতে, পায়ে এবং মাথায় ভাঙচুরের প্রমাণ মিলেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুরের সদর বাজার এলাকার হরি মন্দিরে দুর্গাপূজার প্রতিমা নির্মাণের কাজ চলছিল।
হরি মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক তরুণচন্দ্র সাহা জানিয়েছেন, “কয়েকদিন আগে মৃৎশিল্পীরা মাটির কাজ শেষ করে গিয়েছেন। বৃষ্টি চলে গেলে আমরা প্রতিমা রং করার পরিকল্পনা করছিলাম। তবে দুর্বৃত্তরা ৮টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে। কিছু প্রতিমার হাত, পা এবং মাথা ভেঙে দেওয়া হয়েছে।”
এই ঘটনায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে এবং তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা ও মন্দির কর্তৃপক্ষ দ্রুত বিচার দাবি করেছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।