সংক্ষিপ্ত

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামানত আবেদনের শুনানি ২ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। তাঁর পক্ষ থেকে কোনো আইনজীবী উপস্থিত না হওয়ায় শুনানি স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে আদালত। উল্লেখ্য, সেখানে ৭০ জন হিন্দু আইনজীবীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

বাংলাদেশে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার ইসকনের পুরোহিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আরও এক মাস জেলে থাকতে হবে। চট্টগ্রামের একটি আদালত মঙ্গলবার ৩ ডিসেম্বর জামানত আবেদনের শুনানি ২ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করেছে। আসলে, এই মামলার শুনানির জন্য কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত হননি। অন্যদিকে, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট জানিয়েছে- চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামানত আবেদনের জন্য কোনো আইনজীবী না পাওয়ায় শুনানি স্থগিত হয়েছে। চট্টগ্রামে ইচ্ছাকৃতভাবে ৭০ জন হিন্দু আইনজীবীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কট্টরপন্থীদের ভয়ে উপস্থিত হননি একজনও আইনজীবী

উল্লেখ্য, এর আগে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মামলা লড়াই করা একজন বাংলাদেশি আইনজীবীর উপর ইসলামি কট্টরপন্থীরা হামলা চালিয়েছিল, যাতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করতে হয়। এই হামলার পর থেকেই আইনজীবীরা বেশ ভীত এবং মঙ্গলবার তাঁর জামানতের শুনানিতে একজনও আইনজীবী উপস্থিত হননি। এরপর চট্টগ্রামের আদালত শুনানি স্থগিত করে। এখন পরবর্তী শুনানি ২ জানুয়ারি ২০২৫ সালে হবে।

আইনজীবীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ

রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট অভিযোগ করেছে যে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামানতের শুনানিতে যাতে কোনো আইনজীবী উপস্থিত না হন, সেজন্য ৭০ জন হিন্দু আইনজীবীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আইনজীবীদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হয়েছে, যাতে কেউ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে অংশ না নিতে পারেন।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী রমেন রায়ের উপর হয়েছিল জীবননাশের হামলা

ইসকন কলকাতার মুখপাত্র রাধারমণ দাস সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল এক্স-এ লেখা এক পোস্টে জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে ইসলামি কট্টরপন্থীরা কীভাবে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী রমেন রায়ের উপর হামলা চালিয়েছিল। তিনি পোস্টে জানান- রমেন রায়ের অপরাধ শুধু এটুকুই যে, তিনি আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর পক্ষে সাফাই গাইছিলেন। কিন্তু ইসলামি উগ্রপন্থীদের দল তাঁর উপর নির্মমভাবে হামলা চালায়, যার ফলে তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করতে হয়। বর্তমানে তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।