সংক্ষিপ্ত

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন অব্যাহত। হিন্দুদের বাড়িঘর লুটপাট, মন্দির ভাঙচুর, নারীদের উপর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটছে। ভারতের বিশিষ্ট মুসলিম নাগরিকরা ইউনূস সরকারের নিন্দা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান মোহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, 'আমরা একই পরিবারের মানুষ। এবং আসুন আমরা একটি পরিবারের সদস্য হিসাবে আমাদের সামগ্রিক দায়িত্ব পালন করি। আমি কি আমার দায়িত্ব পালন করতে পারি? সেখানে খাদ্যই মুখ্য এবং তাই সমাধানও। একটি খাদ্য, অন্যটি সমাধান। বাংলাদেশের একজন হিন্দু আইনজীবী বলেন, "সারা বাংলাদেশে হাজার হাজার সংখ্যালঘুদের নামে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাঁচ শতাধিক নিরীহ সংখ্যালঘু আহত হয়েছে, শতাধিক বাড়িঘর লুট করা হয়েছে। সেবক কলোনিতে আগুন দেওয়া হয়েছে।" নারীদের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে, অনেক মন্দির ভাংচুর করা হয়েছে।'

সেখানে হিন্দুদের ঘরে ঘরে মৌলবাদীরা হামলা চালাচ্ছে। রাতে নির্যাতন করা হয়। অন্যথায় আপনাকে রূপান্তর করতে হবে। তালেবান এটা করছে। 'ভারতের বিশিষ্ট মুসলিম নাগরিকরা অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান মোহাম্মদ ইউনূসকে একটি চিঠি লিখেছেন এবং বাংলাদেশে হিন্দুদের নিপীড়নের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। যেখানে তিনি লিখেছেন, 'বাংলাদেশে যা হচ্ছে তা ইসলামের নীতি ও হযরত মুহাম্মদের দেখানো পথের পরিপন্থী। আমরা আশা করি বাংলাদেশ সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে এবং হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

বাংলাদেশে মৌলবাদীরা যখন প্রতিদিন হিন্দুদের হত্যা করছে, বাড়িঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে, মন্দির ধ্বংস করছে, তখন সে দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি অংশ হিন্দুদের ওপর অব্যাহত অত্যাচারে সামিল হয়েছে। ভারতে আসা বাংলাদেশিরা মাতৃভূমির দুঃখের পাশাপাশি ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

মোহাম্মদ ইউনূসের মুখ ও মুখোশ এখন পরিষ্কার। মুখে শান্তির গুন্ডা, বাস্তবে আগুনের গুন্ডা, হিন্দুদের ঘরে ঘরে বাছাই করে হামলা করা হচ্ছে। মন্দির ভেঙে ফেলা হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের মুসলিম নাগরিকদের একটা বড় অংশ ইউনূস সরকার বা চরমপন্থীদের আচরণ মেনে নিতে পারছে না! দেশে যা চলছে তাতে তারাও ক্ষুব্ধ। চিকিৎসার জন্য কলকাতায় এসেছেন জিতু মিয়া। ঢাকার বাসিন্দা জিতু মিয়া বলেন, নৃশংসতা, লুটপাট, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, এসবই শুরু হয় ৫ আগস্টের পর থেকে। হিন্দুদের ওপর হামলা হয়।

Citizens for Fraternity-এর লেখা চিঠিতে প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এসওয়াই কুরেশি, দিল্লির প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট গভর্নর নজীব জং, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য জমিরউদ্দিন শাহ, প্রাক্তন সাংসদ শহীদ সিদ্দিকী এবং আরও অনেকে স্বাক্ষর করেছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘এটি সবচেয়ে বিরক্তিকর যে আইনজীবীরা তাদের নিজের ধর্মের লোকদের রাগান্বিত করার ভয়ে একজন ভিকটিমকে রক্ষা করতে দাঁড়ান না। মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা করতে হবে। আমরা সংখ্যালঘুদের উপর এই নৃশংসতার নিন্দা জানাই এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানাই।’