সংক্ষিপ্ত
পাক সেনার তরফে তাঁদের ছবি প্রকাশের পর একপ্রকার বাধ্য হয়েই মুখ খুলেছে বাংলাদেশ বলে ধারণা অনেকের। তবে এবারে পাক সেনাকর্তাদের ঢাকা সফর নিয়ে চুপ দুই দেশই।
সম্প্রতি বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর ৬ জন সেনাকর্তার একটি প্রতিনিধি দল ছয়দিনের পাকিস্তান সফর সেরে শনিবার দেশে ফিরেছে। অন্যদিকে সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় এসে পৌঁছেছে পাকিস্তানের ৪ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের সামরিক প্রতিনিধি দল।
বাংলাদেশের সেনাকর্তাদের পাক সফর নিয়েও যথেষ্ট গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়েছিল। প্রতিনিধি দলটি ঢাকায় ফিরে আসার পর ইউনূস সরকারের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, গত ১৩ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল কামরুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ সেনাকর্তা। পাক সেনার তরফে তাঁদের ছবি প্রকাশের পর একপ্রকার বাধ্য হয়েই মুখ খুলেছে বাংলাদেশ বলে ধারণা অনেকের। তবে এবারে পাক সেনাকর্তাদের ঢাকা সফর নিয়ে চুপ দুই দেশই।
প্রসঙ্গত, ভারত ও বাংলাদেশের বর্তমান সম্পর্ক প্রায় তলানিতে ঠেকেছে। আর ভারতের বিরোধিতায় এই সুযোগকেই কাজে লাগাতে চাইছে পাকিস্তান। শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে গাজীপুরের সমরাস্ত্র নির্মাণের কারখানায় তাদের ‘শাহীন’ সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্র বানানোর প্রস্তাব দিয়েছে পাকিস্তান। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি প্রথাগত অস্ত্রের পাশাপাশি পারমাণবিক অস্ত্র বহনেও সক্ষম।
সূত্রের খবর, পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম মালিক (Asim Malik)। গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর প্রধান (ISI Chief) তিনি। এছাড়াও রয়েছেন আইএসআই-এর ডিরেক্টর জেনারেল অ্যানালিসিস (ডিজি এ) মেজর জেনারেল শহিদ আমির আফসার, মেজর জেনারেল আলম আমির আওয়ান এবং এসএসজি-র কর্তা মুহাম্মদ উসমান লতিফ। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা নাগাদ তাঁরা ঢাকা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। পাক প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই-এর এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার মেহদি।