সংক্ষিপ্ত

করোনাভাইরাস চিনের প্রদেশ থেকেই ছড়িয়েছে বলে জানে সবাই

কিন্তু চিনের বিদেশ মন্ত্রক অন্যরকম দাবি করল

তাদের এই প্রদেশে প্রথম আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল

তাহলে কোথা থেকে এল করোনাভাইরাস

 

করোনাভাইরাসের নাম গোটা বিশ্ব জানার একেবারে শুরুর দিন থেকেই জানা গিয়েছিল, চিনের উহান শহরের এক সিফুড মার্কেট থেকেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে যখন একের পর এক দেশে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে তখন চিনের বিদেশ মন্ত্রক এক চাঞ্চল্যকর দাবি করল। শুক্রবার চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন, করোনাভাইরাস আক্রান্ত নিশ্চিত হওয়ার ঘটনা প্রথম উহান প্রদেশেই মিলেছিল। তবে এর উৎস যে চিনেই তার কোনও মানে নেই।

এদিন ঝাও লিজিয়ান বলেন, কোথা থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে তার উৎসের সন্ধান এখনও চলছে। উহানেই প্রথম আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু তার মানেই যে উহান-এই এই ভাইরাসের উৎস, তেমনটা বলা যায় না। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মহল ও সংবাদমাধ্যমের কোনও নির্দিষ্ট অঞ্চল-কে কলঙ্কিত করা উচিৎ নয়।

চিনে কোভিড-১৯ সংক্রমণে এদিন সকালে আরও ৩০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত চিনে ৩,০৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে করোনাভাইরাস এখন আর চিনের হুমকি নয়, গোটা বিশ্বেই চোখ রাঙাচ্ছে। করোনাভাইরাস-এর প্রাদুর্ভাবে সারা বিশ্ব জুড়ে আরও বহগু মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ৯৫,০০০ এরও বেশি মানুষ কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত। ৮০টিরও বেশি দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এদিন ভুটানেও একজনকে এই ভাইরাসে আক্রন্ত পাওয়া গিয়েছে।

ভারতেও প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ভারতে ৩১ জন কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তারমধ্যে অবশ্য ১৬ জন ইতালিয় পর্যটকের একটি দলও রয়েছে। এদিন সকালে দিল্লিতে আরও এক ব্যক্তির দেহে নতুন করে এই ভাইরাসের উপস্থিতির ইতিবাচক প্রমাণ মিলেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এদিনই প্রতিটি রাজ্যে গণ সমাবেশ আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।