সংক্ষিপ্ত

মিথ ভাঙা সিদ্ধান্ত সৌদি আরবে। মক্কার মসজিদে নিরাপত্তার দায়িত্ব এবার থেকে মহিলা সেনা থাকবে। 
 

মিথ ভেঙে ক্রমশই এগিয়ে যাচ্ছে সৌদি আরব। হজের সময় মক্কার নিরাপত্তার দায়িত্ব বেশ কয়েকজন মহিলা সেনার হাতে তুলে দিয়ে আরও একটি নজর তৈরি করল এই মুসলিম দেশটি। সৌদির যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমান রক্ষণশীল এই দেশটিকে এদিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আধুনিকীকরণ আর বৈচিত্র্যমূলক অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারই অঙ্গ প্রথা ভেঙে মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি জায়গা করে দেওয়া। 

সৌদি যুবরাজের দেখান পথেই মোনা আজ মক্কায় নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্ব পেয়ে তাঁর বাবার দেখান পথে চলতে পেরেছেন বলেও জানিয়েছেন। ছোট থেকেই বাবার প্রভাব ছিল তাঁর ওপর। আর সেই কারণেই তিনি সৌদি মহিলা সৈন্যদলে যোদদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। হজ তীর্থযাত্রীদের সুরক্ষা প্রদান করাই তাঁর অন্যতম কর্তব্য। মোনা জানিয়েছেন এই কাজ করতে পেরে তিনি খুশি। 

দিল্লি পুলিশকে পাশ কাটিয়ে কেজরিওয়ালের 'হ্যাঁ', যন্তর মন্তরে সমাবেশ প্রতিবাদী কৃষকদের

এপ্রিল থেকেই কয়েক ডজন মহিলা সৈন্য সুরক্ষা পরিষেবার অংশ হয়ে উঠেছে। মহিলারা দায়িত্ব পেয়েছে মক্কা আর মদিনায় ইসলামের জন্মস্থানগুলির তদারকি করা আর নিরাপত্তা দেওয়ার। খাঁকি পোষাকই পরেছেন তাঁরা। তবে পুরুষের মত নয়। কোমর পর্যন্ত লম্বা জ্যাকেট। ঢিলে ঢালা খাঁকি প্যান্ট পরতে হয়েছে। মুসলিম প্রথা মেনেই মাথা আর চুল ঢাকতে হয়েছে কালো ওড়না দিয়ে। এই পোষকাই আত্মবিশ্বাসী মোনা গ্যান্ড মসজিদের নিরাপত্তা দায়িত্ব পালন করে যান। 

পেগাসাস ব্যবহার করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রেহাই নেই তৃণমূল নেতাদেরও এমন অভিযোগ দিলীপ ঘোষের

মোনা জানিয়েছেন পবিত্র গ্যান্ড মসজিদে দাঁড়িয়ে তিনি তাঁর বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন। উপাসনাকারীদের সেবা করা অত্যন্ত মহৎ আর সম্মানজনর কাজ।  তাঁর কাজে তাঁর পরিবারের সদস্যরা গর্বিত বলেও জানিয়েছেন মোনা। মোনার মতই আরও সৈনিক সম্প্রা। তিনি  মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন ধর্ম, দেশ আর ঈশ্বর সকলেই সেবাই নিয়োজিত হয়ে তাঁর ভালোই লাগছে। পরিবারও তাঁকে সহযোগিতা করছে।  

হলুদ নদীর জলে ভাসছে চিন, ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতিতে সংকটে শি জিংপিং সেনা নামালেন 

মহিলাদের জন্য কিছুটা হলেও মুক্ত বাতাস নিয়ে এসেছেন মাত্র ৩৫ বছরের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমান। তাঁর নির্দেশেই রক্ষণশীল দেশে কিছুটা হলেও খোলা হাওয়ায় নিঃশ্বাস নিতে পারছেন মহিলারা। কারণ বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সামাজিক আর আর্থিক সংস্কারে জোর দিয়েছেন তিনি। ভিশন ২০৩০ নামে পরিকল্পনার অধীনে একগুচ্ছ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমান সৌদিতে প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলাকে কোনও কাজের জন্য অভিভাবকদের অনুমতি নেওয়ার বাধ্যতামূলক নয়।