সংক্ষিপ্ত
পূর্ব লাদাখ সীমান্ত সংলগ্ন একটি বিমান ঘাঁটি ঢেলে সাজাচ্ছে চিন। মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর যুদ্ধ বিমান।
পূর্ব লাদাখ সীমান্তে এখনও পর্যন্ত অস্থিরতা রয়েছে। ভারত ও চিন দুই দেশের সেনা বাহিনী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবার অবস্থান করছে। এরই মধ্যে নতুন করোন চোখ রাঙাতে শুরু করেছে চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মি। গোয়েন্দা সূত্রের খবর জিংজিয়াং প্রদেশের, শকচ শহরে একটি নতুন বিমান ঘাঁটি তৈরি করছে চিন। এই বিমান ঘাঁটি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় চিনকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্রের খবর গত বছর থেকেই এই বিমান ঘাঁটি তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। গত বছর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় ভারতীয় সেনা আর পিপিলস লিবারেশন আর্মির মধ্যে যখন উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তার আগে থেকেই এই এলাকায় বিমান ঘাঁটি তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। কারণ চিন বুঝতে পেরেছিল এই এলাকায় যদি দুই দেশের মধ্য সংঘর্ষ বাধে তাহলে ভারতীয় বিমানগুলি অনেক দ্রুত সংঘর্ষ স্থানে পৌঁছাতে পারবে। আর চিনা বিমানও যাতে দ্রুততার সঙ্গে সংঘর্ষ স্থানে পৌঁছাতে পারে তার জন্যই এই বিমান ঘাঁটি তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রের খবর শাচেক নগরে আগে থেকেই একটি এয়ার বেশ ছিল। সম্প্রতী সেখানে আনা হয়েছে উন্নত ধরনের যুদ্ধবিমানগুলি। সূত্রের খবর চিনারা কাশগার আর হোগানের মধ্যেও নতুন বিমান ঘাঁটি তৈরির করছে।
বিয়ের পিঁড়িতে কনেকে দেখে ভ্যাবাচ্যাকা খেল বর, তারপর কী হল জানতে দেখুন ভাইরাল ভিডিওটি
সূত্রের খবর চিনের আগের বিমান ঘাঁটি থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার দূরত্ব ছিল ৪০০ কিলোমিটার। শাকচ এয়ার ফিল্ড সীমান্ত আর আগের বিমান ঘাঁটির সঙ্গে সেতু হিসেবে কাজ করবে। ভারতীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছে, উত্তরাখণ্ডের সীমান্তবর্তী এলাকা বরাহৌতি থেকে চিনের বিমানঘাঁটিক কাজকর্ম দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি সেখানে প্রচুর পরিমাণে যুদ্ধ বিমান আনা হয়েছে। সম্প্রসারণ করা হয়েছে রানওয়ে। সেনার সংখ্যাও বাড়ান হয়েছে। চিনা সেনা যে সেখানে মহড়া দিচ্ছে তাও নিশ্চিত করেছেন গোয়েন্দারা।
পেগাসাসঃ সংসদে দাঁড়িয়ে অভিযোগ ওড়ালেন নতুন মন্ত্রী, বললেন 'এটি কাকতালীয় নয়'
বিশেষজ্ঞদের মতে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে ভারতের তুলনায় চিনা বিমান বাহিনী কিছুটা হলেও দুর্বল। ভারত প্রায়ই সীমান্তবর্তী এলাকায় মহড়া দেয়। সূত্রের খবর চিনারা নতুন বিমান ঘাঁটিতে এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও মোতায়েন করেছে। বিশেষজ্ঞদের মত রীতিমত যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে চিন। কিন্তু লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরও সামরিক আর কূটনৈতিক আলোচনা হবে বলেও বেজিং জানিয়েছে। সেখানে এই যুদ্ধ প্রস্তুতি প্রশ্ন তুলে দিয়েছে শান্তিপূর্ণ মিমাংসার ইচ্ছে নিয়ে।