পিপিই খুলতেই পড় এক বালতি ঘামকরোনাভাইরাস মহামারিকে বলা হচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধএই যুদ্ধে সৈন্যের ভূমিকায় রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরাকিন্তু, পিপিই পরে কাজ করাটা কতটা কষ্টকর এই ভিডিওই তার প্রমাণ

করোনাভাইরাস মহামারিকে বলা হচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। এই যুদ্ধে সৈন্যের ভূমিকায় রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, নার্সরা। মারাত্মক করোনাভাইরাসের মোকাবিলা জন্য এখনও তাঁরা কোনও অস্ত্র না পেলেও রয়েছে বর্ম। বন্দুক, কামান এবং ট্যাঙ্ক ইত্যাদি নিয়ে দেশকে যেমন বহিঃশ্ত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করে সৈন্যরা, তেমনই এই ফ্রন্টলাইন কর্মীদের ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে পরতে হয় হ্যাজমাট স্যুট, মাস্ক, গ্লাভস-এর মতো ব্যাক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম। আর এইসব পরে কাজ করাটা কতটা কঠিন, তা একেবারে চোখের সামনে দেখিয়ে দিয়েছে সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এক ভিডিও।

করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হয়েচিল শীতকালে। সেই সময় পিপিই পরে কাজ করাটা ততটা কঠিন না হলেও বর্তমানে গরমের সময়ে বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই পিপিই পরে কাজ করে যাওয়াটা প্রাণান্তকর হয়ে দাঁড়াচ্ছে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য। পিপিই পরে প্রচুর ঘাম ঝরছে। কত ঘাম?

ভাইরাল ভিডিওটিতে চিনের এক মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীকে হ্যাজম্যাট সুট খুলতে দেখা গিয়েছে। আর তা খুলতেই তার মধ্য থেকে বেরিয়ে এসেছে প্রায় এক বালতি ঘাম। দেখা যায় মেঝের উপর দিয়ে জলের স্রোত বয়ে যাচ্ছে।

Scroll to load tweet…

জানা গিয়েছে ভিডিওটি তোলা হয়েছে গত শনিবার। ঘটনাটি উত্তর-পশ্চিম চিনের শিনজিয়াং প্রদেশের রাজধানী উরুমকি শহরের। চিনা গনমাধ্যম ওয়েবো-তে প্রথম ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়। ওয়েবো-র খবর অনুযায়ী ওই মহিলা কর্মী, শিফট চলাকালীন সাময়িক বিরতি নিচ্ছিলেন। ভিডিওটি প্রকাশ পেতেই তা ভাইরাল হয়েছে। এই ভিডিওই গরমের মধ্যেও কোভিড-১৯'এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে স্বাস্থ্যকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ছবিটা তুলে ধরেছে বলে জানিয়েছেন, নেটিজেনরা। ওই মহিলা-সহ বিশ্বের সব স্বাস্থ্যকর্মীদেরই কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে তারা।

গত মার্চ মাসে, উরুমকি শহরে প্রথম করোনাভাইরাস মামলার সন্ধান মিলেছিল। সঙ্গে সঙ্গেই চিন সরকার এই শহরে লকডাউন জারি করেছিল। তাতে কিছুটা সংক্রমণ ঠেকানো গেলেও জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে সমগ্র শিনজিয়াং প্রদেশেই সংক্রমণের হার ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু উরুমকি শহরেই এখন আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০-রও বেশি বলে জানা গিয়েছে।