সংক্ষিপ্ত

কাবুল (Kabul) ও আফগানিস্তানের (Agfhanistan) সমস্ত রাস্তা থেকে আগেই মহিলাদের ছবি ঢেকে দিয়েছিল তালিবানরা (Talibans)। নতুন বছরে হেরাত (Herat) প্রদেশে খোলাখুলি 'ম্যানিকুইন'দের (Mannequins) শিরশ্ছেদের ডাক দিল তারা।   

নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে, বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় আসার পরপরই, কাবুল (Kabul) ও আফগানিস্তানের (Agfhanistan) সমস্ত রাস্তা থেকে মহিলাদের ছবি হোয়াইট ওয়াশ করে দিয়েছিল তালিবানরা (Talibans)। নতুন বছরের শুরুতেই এবার তারা খোলাখুলি শিরশ্ছেদ অভিযানে নামার ঘোষণা করল। তবে মানুষের নয়, বিভিন্ন জামা-কাপড়ের দোকানের জানলায় যে 'ম্যানিকুইন' (Mannequins) দাঁড় করানো থাকে, সেই ম্যানিকুইনগুলিরই মাথা কেটে দিতে হবে। রবিবার, এমনই নির্দেশ দিল আফগানিস্তানের 'পুণ্যের প্রচার এবং পাপ প্রতিরোধ' মন্ত্রক (Ministry for the Propagation of Virtue and the Prevention of Vice)।   

এদিন, 'পুণ্যের প্রচার এবং পাপ প্রতিরোধ' মন্ত্রকের প্রধান শেখ আজিজ-উর-রহমান (Sheikh Aziz-u-Rahman) বলেন, 'ম্যানিকুইন' ব্যবহার করা শরীয়ত আইনের (Sharia law) লঙ্ঘন। তালিবানদের মতে ম্যানিকুইনগুলি হল মূর্তি, যা ইসলামে (Islam) নিষিদ্ধ। এদিন, আফগান সংবাদমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে রুশ সংবাদ সংস্থা স্পুটনিক জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে, মন্ত্রকের পক্ষ থেকে আফগান প্রদেশ হেরাতের (Herat) দোকানগুলি থেকে সমস্ত ম্য়ানিকুইন সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু, আফগানিস্তানের অর্থনীতি এখন একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। এই অবস্থায়, ব্যবসায়ীরা তালিবান কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন, ইতিমধ্যেই এই অস্থির সময়ে তাদের ব্যবসার বেহাল অবস্থা। তার উপর ম্যানিকুইনগুলিকে একেবারে ফেলে দিতে হলে, সেই ক্ষতির ধাক্কা তাঁরা সামলাতে পারবেন না। 

এরপরই আদেশ বদলে, ম্যানিকুইনগুলি একেবারে ফেলে না দিয়ে, তাদের মাথাগুলি কেটে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তবে, দোকানদাররা জানিয়েছেন, ম্যানিকুইনগুলির মাথা কেটে ফেললেও, তাদের যথেষ্ট আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। তারা জানিয়েছেন, ম্যানিকুইনগুলির একেকটি দাম ৭০ থেকে ১০০ মার্কিন ডলার। সেগুলির, শিরশ্ছেদ করতে গেলে একটি বিশাল আর্থিক ক্ষতি হবে। এর বদলে তালিবান শাসকা ম্যানিকুইনগুলির মাথা ঢেকে দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারতেন বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। তবে, 'পুণ্যের প্রচার এবং পাপ প্রতিরোধ' মন্ত্রক একবার নির্দেশ দিলে, তা সকলকে মানতেই হবে। দেশে তালিবানদের চরমপন্থী ইসলামি শাসক বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করার দায়িত্ব এই মন্ত্রকের। কাজেই, কথা না শুনে উপায় নেই।