সংক্ষিপ্ত
ডোনাল্ড ট্রাম্প দিয়েছিলেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি। তারপরই তাঁকে বৈঠকের প্রস্তাব দিল বেজিং। আপোষের পথ খুঁজতে হবেল ট্রাম্পকে। বেজিং চায় সহযোগিতার সম্পর্ক।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দেওয়ার পরই শুক্রবার চিন করোনাভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করার জন্য দুই দেশের মধ্য়ে সহযোগিতা জোরদার করার আহ্বান জানালো। সমঝোতার পথ খোঁজার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকের হসার আগ্রহ প্রকাশ করল। গত কয়েক সপ্তাহে বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে সম্পর্কের ক্রমে অবনতি ঘটেছে। করোনাভাইরাসের উৎস নিয়ে দুই পক্ষই সুর চড়িয়েছে।
এদিন কিন্তু চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন, 'চিন-মার্কিন সম্পর্ক অবিচ্ছিন্ন রাখা উভয় দেশের জনগণের মৌলিক স্বার্থে এবং বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে সহায়ক। বর্তমানে, চিন এবং আমেরিকার উচিত মহামারীটির বিরুদ্ধে লড়তে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করা, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মহামারীটিকে পরাজিত করা, রোগীদের চিকিৎসা করা এবং অর্থনীতি ও উৎপাদন পুনরুদ্ধারে মনোনিবেশ করা। এর জন্য আমেরিকার উচিত চিনের সঙ্গে একটি সমঝোতার জন্য একটি বৈঠক করা'।
বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাত্কারে ট্রাম্প চিনের প্রকতি কঠোর অবস্থান নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, 'আমরা অনেক কিছুই করতে পারি ... আমরা ( দ্বিপাক্ষিক) সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করতে পারি। সম্পর্কটি পুরো ছিন্ন করলে ৫০০ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয়ও হবে।' তবে ট্রাম্প এইকথাও বলেছিলেন যে চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং-এর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক 'খুব ভাল' কিন্তু 'এখন আমি তাঁর সঙ্গে একেবারেই কথা বলতে চাই না'।
মার্কিন য়ুক্তরাষ্ট্র ও চিনের মধ্যে করোনা পূর্ববর্তী সময় থেকেই বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল। এরপর ওয়াশিংটন এবং বেজিং-এর মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয় করোনা। মার্কিনিরা সরাসরি চিনের উহান শহরের গবেষণাগারে ভাইরাসটির উদ্ভব বলে দাবি করতে থাকে। এমনকী স্বয়ং ট্রাম্প কোভিড-১৯ রোগ-কে 'চিন থেকে আসা প্লেগ' বলেও অভিহিত করেন।