সংক্ষিপ্ত

  • জন্মদিনের ৬ দিন আগেই নেমে এল অন্ধকার
  • চির ঘুমে অস্ট্রিয়ার রাজকন্যা মারিয়া
  • রাজকন্যা ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন এক ভারতীয়কে
  • ২ বছরের এক সন্তানকে রেখে গেলেন রাজকন্যা মারিয়া

বর্তমানে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, প্রজাতন্ত্রের বিশ্বে রাজতন্ত্র ক্ষমতা হারিয়েছে। কিন্তু প্রতিটি দেশেই রাজপরিবারের প্রতি এখনও সম্ভ্রম থেকে গিয়েছে সাধারণ মানুষের। অস্ট্রিয়াও কিন্তু তার ব্যতিক্রম নয়। দেশে রাজপরিবারের হাতে আর ক্ষমতা না থাকলেও, দেশবাসীর কাছে এখনও তাঁদের গুরুত্ব রয়েছে। সেই অস্ট্রিয়ার রাজপরিবারেরই সদস্য রাজকুমারী মারিয়া গালতিজাইন। মাত্র ৩১ বছর বয়সেই থেমে গেল যাঁর হৃহস্পন্দন। 

আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে চোখ রাঙাতে আরও বাড়ছে বায়ুসেনার শক্তি, জুলাই মাসেই ভারতে আসছে ৪টি রাফাল

রাজপরিবারের কোনও সদস্যের সঙ্গে সাধারণ মানুষের প্রেম এখনও আম জনতার কাছে আলোচ্য। আর সেই কারণে রাজকুমারী মারিয়াও একসময় ছিলেন খবরের শিরোণামে। কারণ নিজের জীবনসঙ্গী হিসাবে এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাঁধনিকে পছন্দ করেছিলেন তিনি। ঋষি রূপ সিং-এর স্ত্রী হিসাবে নিজের পরিচয় দিতেন মারিয়া সিং। 

জানা যাচ্ছে হাইস্টনের বাসিন্দা মারিয়ে হঠাৎ করেই হৃদরোগের শিকার হন। ৩২ তম জন্মদিনের মাত্র ৬ দিন আগে ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা। ২০১৭ সালের এপ্রিলে ঋষি রূপ সিং-কে বিয়ে করেছিলেন মারিয়া। তাঁদের ২ বছরের একটি শিশুসন্তানও রয়েছে। রাজ পরিবারের ঐশ্বর্য থেকে বেরিয়ে এসে হাউস্টনে ইন্টিরিওর ডিজাইনার হিসাবে নিজের পরিচিতিও তৈরি করেছিলেন প্রিন্সেস মারিয়া। 

আরো পড়ুন: মৃত্যু মিছিলে স্পেনকে ছাড়িয়ে গেল ফ্রান্স, গোটা বিশ্বে মারণ ভাইরাসের বলি ৩ লক্ষের বেশি

রাজকন্যা মারিয়া আনা ও রাজপুত্র পাইটর গালটিজাইনের কন্যা ছিলেন মারিয়া। ১৯৮৮ সালে লুক্সেমবার্গে তাঁর জন্ম। যদিও মাত্র ৫ বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে রাশিয়ায় চলে যান তিনি। মস্কোর জার্মান স্কুলে তাঁর পড়াশোনা। পরে বেলজিয়ামের আর্ট ও ডিজাইন কলেজে ভর্তি হন।