সংক্ষিপ্ত
- গ্যালওয়ান সংঘর্ষ নিয়ে প্রশ্ন
- শহিদদের অবমাননা করা অভিযোগ
- চিন সরকার আটক করে ৩ জনকে
- চিন সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তারা
গ্যালওয়ান সংঘর্ষে চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আর তাতেই শি জিংপিং সরকার হাতে হাতকড়া পরাল তিন ব্লগারকে। চিনের রাষ্ট্রপরিচালিত গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ভারতের সঙ্গে গ্যালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষে নিহত পিপিলস লিবারেশন আর্মির নায়কদের নিয়ে দুইব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে সিয়েচেন প্রদেশের এক ব্লগারও চিনা সেনা বাহিনীকে নেয়ি সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক প্রশ্ন তুলেছিল। তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। দিন কয়েক আগেই বেজিং জানিয়েছিল গ্যালওয়ান সংঘর্ষে চার জন সেনার মৃত্যু হয়েছিল। একদিন পর থেকেই গ্যালওয়ান সংঘর্ষে মৃত চিনা সেনাদের মিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য তিন জনকে আটক করা হয়েছে বলেও প্রশাসন সূত্রে জানান হয়েছে।
চিনে ব্যবহৃত সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েইবোতে এক ব্লগার কিউ জিম বলেছিলেন গ্যালওয়ান সংঘর্ষে চিনের সেনার মৃতের সংখ্যা চারের বেশি। কারণ পরিস্থিতি যা ছিল তাতে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হবে বলেও আলোচনা করেছিলেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার বন্ধুদের সঙ্গে। তিনি বলেছিলেন সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকজন সেনা আহত হয়েছিলেন তাঁরা মারাও যেতেন পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেনন কেন আট মাস ধরে এই ঘটনা লুকিয়েছিল প্রশাসন। ভারত সংঘর্ষের পরপরই জানিয়েছিল তাদের ২০ জন সেনা নিহত হয়েছিল সংঘর্ষে। শনিবার এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করার তদন্তে নেমেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্লোবাল টাইম বলেছে ঝামেলা তৈরি করা চেষ্টা করা হয়েছে। সমাজে নেতিবাচক প্রভাব তৈরির চেষ্টা করা হয়েছিল। গ্লোবাল টাইম আরও বলেছে যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ইন্টারনেটে উত্তেজনা তৈরি পাশাপাশি শহিদদের নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন।
ম্যাসেজিং চ্যাট ও ওয়েচ্যাটে মন্তব্য করার জন্য দ্বিতীয় ব্লগারকে আটক করা হয়েছিল বেজিং থেকে। তাঁর নাম চেন্নাম চেন বলেও দাবি করা হয়েছে। তিনিও গ্যালওয়ানে নিহত শহিদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। পাশাপাশি চিনা সেনার ভূমিকা ও প্রশান কেন নীরব ছিল তা নিয়ে একাধিক মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।