সংক্ষিপ্ত

  • ভারত লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করায় ভয় পেয়েছে চিন
  • তাদের আশঙ্কা ভারত আকসাই চিনকে দখল মুক্ত করবে
  • তাই গালওয়ান উপত্যকাকে এই প্রথম নিজেদের অংশ বলে দাবি
  • নতুন আরেক নিশানা দখলের পরিকল্পনাও শুরু করেছে বেজিং

ভারত চিন সীমান্ত বিবাদ বহু দিনের। তবে গত ষাট বছরে গালওয়ান উপত্যকা নিয়ে তেমন ভাবে মাথা ঘামাতে দেখা যায়নি বেজিংকে। অথচ গত দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে পূর্ব লাদাখের এই সীমান্তেই হাজার হাজার সেনা মৌতায়েন করেছেন চিন। বাড়িয়েছে অস্ত্রশস্ত্র। তাই গালওয়ান নিয়ে কেন চিন হঠাৎ এত সক্রিয় হয়ে উঠল তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে অনেকের মনেই।

আরও পড়ুন: এবার আকসাই চিনের জমি ফেরাতে মরিয়া ভারত, লাদাখে মোতায়েন ৪৫ হাজার জওয়ান

ভারতীয় কূটনীতিকরা বলছেন, স্পর্শকাতর তিবব্ত-জিংঝিয়াং হাইওয়ে থেকে ভারতীয় সেনাকে দূরে রাখতেই নাকি এই পরিকল্পনা তৈরি করেছিল চিন। দুই দেশ আপাতত সীমান্ত থেকে সেনা সরাকে সম্মত হলেও চিন সহজেই ওই এলাকা থেকে সরবে না তা ভাল করেই জানে দিল্লি। সাম্প্রতিক উপগ্রহ চিত্রেও সেই প্রমাণই মিলছে। 

আরও পড়ুন: গালওয়ান নিয়ে ফের বাড়ছে ভারত-চিন উত্তেজনা, যুদ্ধের ইজ্ঞিত দিয়ে এবার এশিয়ামুখী মার্কিন সেনা

এই প্রথম গালওয়ান উপত্যকাকে নিজেদের সার্বভৌমত্ব অংশ হিসাবে দাবি করছে চিন। গত বছর অগস্টে ভারত লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণার পরেই ঘুম উড়েছে বেজিংয়ের। চিন ভাবছে, আইসাই চিন দখলমুক্ত করতেই এই পদক্ষেপ করেছে দিল্লি। তারমধ্যে পূর্ব লাদাখে ভারতের রাস্তা ও পরিকাঠামো তৈরি চিনকে আরও চিন্তিত করে তুলেছে। আর সেই কারণেই চিন গালওয়ান দখলের সিদ্ধান্ত নেয় বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ভারতীয় সেনাদের আকসাই চিন ও জিংঝিয়াং-তিব্বত হাইওয়ে থেকে দূরে রাখাই যার মূল উদ্দেশ্য।

এদিকে গালওয়ানের পর এবার লাদাখের ডেপসংকে নিজের লক্ষ্য হিসাবে বেছে নিয়েছে লাল ফৌজ। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই নতুন এলাকায় দখলদারি চালানোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে চিনা বাহিনী। সেই উদ্দেশ্যে এগোতে শুরু করেছে তারা। শুধু তাই নয়, সূত্রের খবর অনুযায়ী চিনা বাহিনীর ট্যাঙ্ক মুভমেন্টও শুরু হয়ে গিয়েছে ডেপসংয়ের দিকে। তবে ভারতীয় সেনার সামরিক অবস্থান ডেপসংয়ে বেশ শক্তিশালী তাই প্ররোচিত হলে যোগ্য জবাব দেওয়ার ক্ষমতা এখানে ভারতীয় সেনার আছে বলেই দাবি করা হচ্ছে দিল্লির তরফে।