সংক্ষিপ্ত
পরিস্থিতির কারণে অনেক সময়ই মূত্রত্যাগের প্রয়োজন নিয়ন্ত্রণ করতে হয়
তবে বেশি সময় ধরে নিয়ন্ত্রণ করলে ফল হতে পারে মারাত্মক
চিনের এক ব্যক্তি ১০ বোতল বিয়ার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন
১৮ ঘন্টা বাদে ঘুম ভাঙার পর কী হল জানেন
অনেক সময়ই পরিস্থিতির কারণে মূত্রত্যাগের প্রয়োজন পড়লেও, একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সেই অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণ করতেই হয়। তবে খুব বেশি সময় ধরে এই অবস্থা চললে তার ফল কতটা মারাত্মক হতে পারে তা একেবারে রন্ধ্রে রন্ধ্রে টের পেলেন চিনের এক ব্যক্তি।
৪০ বছর বয়সী চিনা নাগরিক মি হু, ১০ বোতল বিয়ার পান করে প্রস্রাব না করেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। আর ঘুম বলে ঘুম, প্রায় একটানা ১৮ ঘন্টা ধরে চলে তাঁর মহানিদ্রা। ঘুম ভাঙে পেটে প্রচন্ড ব্যথার ফলে। অতখানি তরল পান করার পর ১৮ ঘন্টার বেশি সময় ধরে তার মূত্রাশয়ে প্রচুর মূত্র জমা হয়েছিল। পেটে ওই অসম্ভব ব্যথা নিয়েই তিনি ঝিজিয়াং প্রদেশের একটি হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগে গিয়েছিলেন। ডাক্তাররা তাঁকে শুতে বলেছিল, কিন্তু তিনি সোজা হয়ে শুতে অবধি পারছিলেন না বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা।
তাঁকে চিকিৎসা করেছেন এমন তিনজন ডাক্তার জানিয়েছেন, অতক্ষণ ধরে তাঁর মূত্রাশয়ে মূত্র জমতে থাকার ফলে মূত্রাশয়ের অভ্যন্তরে ব্যাপক চাপ তৈরি হয়েছিল। সেই চাপেই তাঁর মূত্রাশয়টি ফেটে গিয়েছিল। জরুরি ভিত্তিতে মি হু-এর অস্ত্রোপচার করা হয়। চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, সময়মতো চিকিত্সা না করা হলে তার মূত্রাশয়ে প্রবেশ করা অন্ত্রের চাপে তাঁর টিস্যুর মৃত্যু হতে পারত। ফলে তাঁর অবস্থা আরও গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছতে পারত। এখন অবশ্য হু স্থিতিশীল অবস্থাতে রয়েছে।
তবে চিকিৎসকদের দাবি হু-এর ঘটনাটি বেশ বিরল। এমনিতে মানব মূত্রাশয় খুবই নমনীয়। তরল সেবন করলে তা আকারে প্রসারিত হয়। ৩৫০ থেকে ৫০০ মিলিলিটার পর্যন্ত তরল ধারণের ক্ষমতা রয়েছে মূত্রাশয়ে।