সংক্ষিপ্ত

চিনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১৭০০ ছাড়ালো।

অবস্থাটা এই জায়গায় পৌঁছতো না চিনা প্রেসিডেন্ট আগে ব্যবস্থা নিলে।

অনেক আগেই তাঁর কাছে এই সংক্রমণ নিয়ে খবর ছিল।

কমিউনিস্ট পার্টি তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আরও বড় বিতর্কে ঠেলে দিল।

 

রবিবার চিনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১৭০০ ছাড়ালো। তবে তার থেকেও মারাত্মক এক তথ্য ফাঁস হয়ে চরম ক্ষোভ তৈরি হয়েছে চিনের জনসাধারণের মধ্যে। রবিবার সরকারি বিবৃতিতেই জানা গিয়েছে, আগে যা বলা হয়েছিল তার থেকে অন্তত দুই সপ্তাহ আগেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে খবর ছিল চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর কাছে। কিন্তু, সেই খবর তিনি চেপে রেখেছিলেন, জনসাধারণ-কে সতর্ক করেননি।

চিনে করোনাভাইরাসে মৃত্যু মিছিল শুরু হয়েছে। সার্স সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছিল ৮০০ মানুষের। সেই সংখ্যা বেশ কয়েকদিন আগেই ছাড়িয়ে গিয়েছিল। রবিবার মৃতের সংখ্যা ১৭০০ ছাড়াতেই আরও কড়া সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু, মনে করা হচ্ছে শি চাইলে অনেক আগেই এই সংক্রমণ মোকাবিলা করা যেত।

গত কয়েকদিন ধরে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে চিনের কয়েক দশকের মধ্যে জনপ্রিয়তম নেতার বিরুদ্ধে। আর তা খন্ডন করতেই রবিবার চিনা কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র 'কিউশি'-তে দাবি করা হয়, শি গত ৭ জানুয়ারিই পার্টির পলিটব্যুরো স্থায়ী কমিটি-র সামনে এই করোনাভাইরাস মোকাবিলা নিয়ে বিভিন্ন নির্দেশ দিয়েছিলেন। অথচ এর সেই দেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম যে সংবাদ প্রকাশ করেছিল, তাতে দেখা যাচ্ছে শি প্রথম এই বিষয়ে নির্দেশ দেন ২০ জানুয়ারি।

অর্থাৎ, দেখা যাচ্ছে জনগণ-কে এই মারাত্মক ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে সতর্ক করার প্রায় ১৩ দিন আগেই এই বিষয়ে তথ্য ছিল শি জিনপিং-এর কাছে। অথচ, এর আগে চিন সরকারের পক্ষ থেকে এই সংক্রমণ এমন মারাত্মক আকার ধারণ করার পিছনে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনিক কর্মীদের দায়ী করা হচ্ছিল। বলা হচ্ছিল, স্থানীয় কর্মীরাই বিষয়টি এই ভাবে ছড়িয়ে যেতে দিয়েছেন। নাহলে আরও আগেই এই রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যেত। কিন্তু প্রেসিডেন্ট-কে সমালোচনার হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে উল্টে তাঁকে আরও বড় বিতর্কের মুখে ঠেলে দিল তার দল।