সংক্ষিপ্ত

একবার কোভিড-১৯ হলে আর কি টিকা নেওয়ার দরকার আছে

কোভিড টিকাকরণ শুরুর পর থেকেই ঘুরছিল এই প্রশ্নটা

ভারতে টিকাকরণ শুরুর ঠিক আগে উত্তর এল এই প্রশ্নের

কী জানা গেল পাবলিক হেল্থ ইংল্যান্ড-এর বিজ্ঞানীদের গবেষণায়

 

যাদের একবার কোভিড-১৯ হয়ে গিয়েছে, তাদের কি আর টিকা নেওয়ার দরকার আছে? গত ডিসেম্বরে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে কোভিড টিকাকরণ শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। সেদিন থেকেই এই প্রশ্নটা ঘুরছে কোভিড-বিশ্বে। বর্তমানে ভারতেও টিকাকরণ অভিযান শুরু হতে চলেছে। তার ঠিক আগে, এই প্রশ্নের উত্তর এল সেই ব্রিটেন থেকেই। বৃহস্পতিবার 'সাইরেন' নামে এই বিষয়ে একটি গবেষণার ফল প্রকাশ করা হল। তাতে বলা হয়েছে, যারা নভেল করোনাভাইরাসে একবার আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের ফের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা, যারা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পেয়েছেন, তাদের মতোই।

পাবলিক হেল্থ ইংল্যান্ড (পিএইচই)-এর বিজ্ঞানীদের প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আগের সংক্রমণ থেকে যাদের শরীরে কোভিড-১৯ অ্যান্টিবডি রয়েছে, তাদের মধ্যে ফের সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা একেবারেই বিরল। গত বছরের ১৮ জুন থেকে ২৪ নভেম্বরের মধ্যে, শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি রয়েছে এমন ৬,৬১৪ জনকে নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন তাঁরা। এর মধ্যে মাত্র ৪৪ জন ফের করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বিজ্ঞানীদের দাবি, ৮৩ শতাংশ মানুষের একবার আক্রান্ত হলে আর দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাঁরা জানিয়েছেন টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যেও সামান্য কিছু সংখ্যক মানুষ করোনা আক্রান্ত হতে পারেন। কাজেই একবার কোভিড হয়ে গেলে, ফের সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের মতোই।

তবে তাঁরা সতর্ক করেছেন, এই গবেষণার আরেকটি দিকও রয়েছে। ২০২০ সালের গোড়ার দিকে কোভিড মহামারির প্রথম তরঙ্গে যাঁরা সংক্রামিত হয়েছিলেন এখন তাঁদের আবার করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকছে। শুধু তাই নয়, তাঁদের গবেষণায় আরও জানা গিয়েছে, এই 'প্রাকৃতিকভাবে অনাক্রম্যতা' প্রাপ্ত ব্যক্তিরা, এখনও তাঁদের নাক এবং গলায় সার্স-কোভ-২ অর্থাৎ নভেল করোনভাইরাস থেকে যেতে পারে এবং অজান্তেই তাঁরা সেই ভাইরাস অন্যের শরীরে ছড়িয়ে দিতে পারেন। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক অনাক্রম্যতা ৫ মাস পর্যন্ত শরীরে থাকতে পারে বলে তাঁরা নিশ্চিত। এর বেশি সময় এটি থাকে কিনা, তা আগামী দিনের গবেষণায় জানা যাবে। এছাড়া, এবার তাঁরা ভ্যাকসিনের প্রতিক্রিয়া বিষয়েও গবেষণা চালাচ্ছেন।