অক্সফোর্ডের টিকা ৭০ শতাংশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে  চূড়ান্ত রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা  আগামী বছর জানুয়ারির মধ্যেই হাতে আসবে করোনার টিকা  দাম পড়বে  এক হাজার টাকা 

মহামারি ক্লান্ত করোনা বিশ্বকে রীতিমত আশার আলো দেখাচ্ছে অক্সফোর্ড আর অ্যাস্ট্রোজেনেকার তৈরি প্রতিষেধক। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সমীক্ষায় প্রতিষেধকটি ৭০.৪ শতাংশ কার্যকারিতা দেখাতে সক্ষম হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মতে করছেন করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে এটি ৯০ শতাংশ কার্যকরী হবে। অক্সফোর্ডের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানান হয়েছে আজকের দিনটি করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি মাইল ফলক। কারণ এই পরীক্ষার মাধ্যমে খুব অল্প খরচে বিশ্ববাসীর কাছে করোনার টিকা পৌঁছে দিতে পারবেন তাঁরা। 

Scroll to load tweet…

সোমবার অক্সফোর্ড বিশ্ব বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে এজেডডি ১২২২ কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ৭০ শতাংশ কার্যকারিতা দেখাতে পেরেছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই অন্তবর্তী বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই ফলাফল সামনে এসেছে। প্রতিষেধক গ্রহণকারী কোনও স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে এখনও পর্যন্ত খারাপ প্রভাব দেখা যায়নি। স্বেচ্ছাসেবকরা এখনও সুরক্ষিত রয়েছে বলেও জানান হয়েছে। 

ইংল্যান্ড ও ব্রাজিলের প্রতিষেধকটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের রিপোর্ট হাতে এসেছে। তা বিশ্লেষণ করেই এই তথ্য সামনে এসেছে বলেও জানান হয়েছে বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে। এখনও পর্যন্ত কোনও টিকা গ্রহণকারীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি। তাতেই বোঝা যাচ্ছে প্রতিষেধকটি মহামারি রুখতে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করবে। এই প্রতিষেধকটি জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থার উপর তাৎক্ষণিক প্রভাব ফলবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয়েছে। 

অক্সফোর্ডের এই প্রতিষেধকটি তৈরির বরাত পেয়েছে ভারতের পুনের সেরাম ইনস্টিটিউ। সংস্থার কর্ণধার আদার পুনেওয়ালা জানিয়েছেন, আগামী বছর জানুয়ারি মাসের মধ্যেই সংস্থাটি ১০০ মিলিয়ন ডোজ তৈরির লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করেছে। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই টিকাকরণ প্রক্রিয়া চালু করা যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, একটি ডোসের দাম পড়বে এক হাজার টাকা। সরকার ৯০ শতাংশ খরচ বহন করবে, তাই প্রতিষেধকটির দাম দাঁড়াবে ২৫০ টাকা। ইতিমধ্যেই ৪০ মিলিয়ন ডোজ তৈরি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।