সংক্ষিপ্ত

ডেল্টা, ওমিক্রনের মত ভেরিয়েন্ট বেশ আশঙ্কাজনক ভাবে ছড়াচ্ছে। এর থেকেই প্রমাণিত করোনা মহামারী এখনও শেষ হয়নি। 

করোনার (Corona Virus) নিত্য নতুন ভেরিয়েন্ট (New Variant) বিশ্বকে চমকে দিচ্ছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ভেরিয়েন্ট প্রাণঘাতীও (Deadly Varient) হতে পারে। ডেল্টা (Delta), ওমিক্রনের(Omicron) মত ভেরিয়েন্ট বেশ আশঙ্কাজনক ভাবে ছড়াচ্ছে। এর থেকেই প্রমাণিত করোনা মহামারী এখনও শেষ হয়নি। এমনই দাবি ব্রিটেনের ওয়েলকাম ট্রাস্টের প্রাক্তন সায়েন্টেফিক অ্যাডভাইসর ও ডিরেক্টর জেরেমি ফারারের। ফারার জানাচ্ছেন মনে করা হয়েছিল করোনা মহামারী হয়ত শেষের পথে। কিন্তু নিত্য নতুন ভেরিয়েন্ট প্রমাণ করেছে মানুষের এই ধারণা ভুল প্রমাণ করছে ওমিক্রনের মতো করোনার ভেরিয়ান্ট।  

এই বিজ্ঞানী জানাচ্ছেন ভ্যাকসিনের সীমিত ব্যবহার বিশ্ব জুড়ে করোনা সংক্রমণকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে। মানুষকে আরও সতর্ক হতে হবে। কারণ করোনার এক একটি ভেরিয়েন্ট এক এক রকমের উপসর্গ নিয়ে আসছে। তবে করোনা ভ্যাকসিন এই ভেরিয়েন্টগুলি থেকে যে পুরোপুরি রক্ষা করতে পারবে, এমন কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়ে ছিল একই কথা। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ আরও জানিয়ে ছিলেন, ভাইরাসটির নতুন নতুন রূপের সূচনা হচ্ছে। গোটা ইউরোপ শীতের মরশুমে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করছে। তাতে দেশগুলি অনেকটাই সফল হয়েছে। নিরাপজ ও কার্যকর ভ্যাকসিনও হাতে রয়েছে। কোভিড মোকাবিলায় নতুন চিকিৎসা ব্যবস্থারও সন্ধান পাওয়া গেছে। কিন্তু ভ্যাকসিনের বৈষম্য সবকিছুই বদলে দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছেন তিনি। সাবধানতা আর টিকাকরণেই পারে কোভিড মহামারির হাত থেকে দ্রুত নিষ্কৃতি দিতে বলে জানিয়েছিল হু। 

গবেষকদের দাবি আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে গোটা বিশ্বই করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। এটি আগেও করা যেত । 'কিন্তু বিশ্ববাসীর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা না থাকায় তা সম্ভব হয়নি।' তাঁরা আরও বলেছেন টিকা আবিষ্কারের পর থেকে এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে ৭.৫ বিলিয়লেরও বেশি ডোজ দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর জুনের মধ্যে ২৪ বিলিয়ন টিকার ডোজ তৈরি হবে। যা গোটা বিশ্বের মানুষকে টিকা দিতে যথেষ্ট। কিন্তু এখনও বিশ্বের একটা বিশেষ অংশ টিকা পায়নি। যা নিয়ে উদ্ধেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। দরিদ্র দেশগুলিতে টিকার মারাত্মক অভাব রয়েছে। সেখানে দ্রুত টিকা কর্মসূচি চালু করা গেলেই বিশ্ব করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাবে। 

এদিকে, সময়ের সাথে সাথে ভ্যাকসিনগুলি কার্যক্ষমতা হারাতে থাকে। তাই এখন বুস্টার ডোজের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ অনেক দেশ ইতিমধ্যেই সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বুস্টার ডোজ ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। ল্যানসেট সমীক্ষা অনুসারে, AstraZeneca, Pfizer-BioNTech, Novavax, Janssen, Moderna, Valneva, এবং Curevac jabs সবই তৃতীয় ডোজ হিসাবে ব্যবহার করা নিরাপদ এবং AstraZeneca ভ্যাকসিনের দুটি প্রাথমিক ডোজ পরে স্পাইক প্রোটিন ইমিউনোজেনিসিটি বেড়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।