সংক্ষিপ্ত
- বাংলাদেশে যায়নি ভারতের ভ্যাকসিন
- বদলে বাংলাদেশও এবার পাঠায়নি ইলিশ
- ভ্যাকসিন ইলিশের টানাপোড়েন
- ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কে অবনতির ইঙ্গিত
দিবে আর নিবে-মিলিবে মেলাবে। ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কটা খানিকটা এই নীতির ওপরেই দাঁড়িয়েছিল কী? নয়তো ভারত ভ্যাকসিন না পাঠানোয় ইলিশ পাঠায়নি বাংলাদেশ, এরকম ঘটনা আগে কখনও ঘটেছে বলে মনে করতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা। করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে কাবু ভারত। দেশে ক্রমশ বাড়ছে ভ্যাকসিনের চাহিদা। তাই অন্যদেশে ভ্যাকসিন রফতানি করতে পারেনি ভারত। তবে সে যুক্তি মানতে নারাজ বাংলাদেশ।
রাতের অন্ধকারে মাদক পাচার, দুষ্কৃতীদের গুলি করতে বিএসএফের ফায়ারিংয়ে আহত দুই স্থানীয়
বাংলাদেশের ১৪ লক্ষ মানুষ ভারত থেকে পাঠানো ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন। এবার অপেক্ষা দ্বিতীয় ডোজের। কিন্তু ভারতের পক্ষে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে ভ্যাকসিন পাঠানো সম্ভব হয়নি। ফলে রীতিমত গোঁসা করেই ভারতে ইলিশ রফতানি করেনি বাংলাদেশ বলে সূত্রের খবর।
চলতি বছর মার্চ মাসে ঢাকা সফরে গিয়ে ভ্যাকসিন রফতানির বিষয়টি চূড়ান্ত করে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এই চুক্তির কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দেশে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের প্রকোপ শুরু হয়ে যায়। ফলে নতুন করে প্রতিবেশি দেশগুলি, যেমন বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটানে ভ্যাকসিন পাঠানো সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশের দাবি ভারতের কাছ থেকে ভ্যাকসিন পাওয়ার আশ্বাস মেলার পর তারা চিনকে ভ্যাকসিনের ব্যাপারে প্রত্যাখান করে।
আকাশছোঁয়া দাম পেট্রোপণ্যের, বিজেপি বিধায়কের দরজায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ সিটুর
ফলে বাংলাদেশ এখন কার্যত ভ্যাকসিন শূণ্য। যা তাদের ক্ষোভের কারণ। বাধ্য হয়েই মোটা টাকা দিয়ে চিনের কাছ থেকে ভ্যাকসিন কিনতে বাধ্য হচ্ছে বাংলাদেশ। এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ইলিশ রফতানিতে। গতবছর তবু বাংলাদেশ থেকে ২টন ইলিশ ভারতে এসেছিল। এবার তাও মেলেনি ভারতের ভাগ্যে। ফলে জামাইষষ্ঠীতে কার্যত ইলিশ শূণ্যই ছিল জামাইদের পাত। বাজারে যা ইলিশ উঠেছিল, তার আকাশছোঁয়া দামে হাত পুড়েছে গৃহস্থের। তাই আপাতত ইলিশ ও ভ্যাকসিন টানাপোড়েনে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কের ঈশান কোণে মেঘ দেখছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।