সংক্ষিপ্ত
- বাড়ির পোষ্য়র খাওয়া নিয়ে সবসময়ে খোঁজ রাখতেন মণিব
- সেই পোষ্য়ই কিনা খেয়ে ফেলল মণিবের এনগেজমেন্ট রিং
- হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল তাকে
- বমি করার ওষুধ দিয়ে বার করা হল সেই রিং
তার খাওয়া নিয়ে চিন্তায় ঘুম হয় না মণিবের। কখন কী খেতে চায় সে, সব সময়ে সেদিকে খোঁজ রাখে মণিব। অথচ, সেই পোষ্য়ই কিনা মণিবের বিয়ের এনগেজমেন্ট রিং গিলে খেয়ে নিল!
পোষ্য়ের নাম পেপার। সম্প্রতি এই পেপারই নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। দক্ষিণ আফ্রিকার এই ঘটনা লোকে রীতিমতো উপভোগ করছে এখন।
জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাবশত তার মণিবের এনগেজমেন্ট রিং গিলে ফেলেছিল পেপার। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর তাকে ভর্তি করা হয় ভ্য়ালি ফার্ম অ্য়ানিম্য়ালে। একটি ছবিও শেয়ার করা হয় তখন-- মাই নেম ইজ পেপার। ডু আই লুক লাইক নসিয়াস? দ্য়াট ইজ বিকজ দ্য় ভেট হ্য়াজ জাস্ট গিভেন মি সামথিং টু মেক মি ভমিট। নট বিকজ দ্য়্ ভেট ইজ আ মিনি বাটড বিকজ আই এট মাই মমস এনগেজমেন্ট রিং। অর্থাৎ-- আমার নাম মেনি। আমাকে কি বিশ্রি দেখতে লাগছে? কারণ, আমার ডাক্তার আমাকে কিছু একটা খেতে দিয়েছে যাতে করে আমি বমি করি। অবশ্য় আমার ডাক্তার খারাপ মনের লোক নন। তিনি চাইছেন আমি যাতে বমি করি, কারণ আমার মায়ের এনগেজমেন্ট রিং খেয়ে নিয়েছি!
ওই ছবির নিচে রয়েছে এমনই এক মজাদার ক্য়াপশন। ওই ক্য়াপশনের তলায় আরও লেখা রয়েছে-- কেন আমি এমন কাজ করেছি তা জিজ্ঞেস করো না। তখন ব্য়াপারটা আমার কাছে দারুণ বলে মনে হয়েছিল।
এরপর, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি এক্স-রে রিপোর্টের ছবিও প্রকাশ করে। যাতে স্পষ্ট দেখা যায়, বেলির পেটের ভেতর রয়েছে একটা রিং।
পশু চিকিৎসকরা অবশেষে ওষুধ খাইয়ে পেপারের পেট থেকে রিংটি বার করতে সক্ষম হন। তাঁদের দেওয়া ওষুধে পেপার বমি করে। আর সেই বমির সঙ্গেই বেরিয়ে আসে এনগেজমেন্ট রিং।