সংক্ষিপ্ত

প্রকাশ্যে স্বীকার করলেন জো বাইডেনই পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রপতি

ক্যাপিটল ভবনে হামলারও কড়া সমালোচনা করলেন

আগের অবস্থান থেকে একেবারে সরে এলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

তবে ২০২৪-এ আবার প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন তিনি

ক্যাপিটল ভবনে হামলার পর মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প, বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে স্বীকার করলেন, জো বাইডেনই পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ভোটে কারচুপির অভিযোগ ধরে রেখেছিলেন। কিন্তু, মার্কিন কংগ্রেস এবার সরকারিভাবে বাইডেন-কমলা হ্যারিস জুটিকে জয়ী ঘোষণা করার পর, সন্ধ্যায় একটি ভিডিও প্রকাশ করে ট্রাম্প জানান, বাইডেন প্রশাসনের হাতে ক্ষমতার মসৃণ হস্তান্তর করাই এখন তাঁর ফোকাসে রয়েছে। এমনকী, ক্যাপিটল ভবনে হামলারও কড়া সমালোচনা করেছিলে তাঁরা।

ওই ভিডিওতে, প্রেসি়ডেন্ট ট্রাম্প বুধবার রাতে মার্কিন সংসদ ভবনে হিংসাত্মক হামলার তীব্র নিন্দা করেন। দাঙ্গাকারীরা সকলেই তাঁর সমর্থক জেনেও তিনি বলেন, এই দাঙ্গা-হাঙ্গামায় মার্কিন গণতন্ত্র অশুদ্ধ হয়েছে। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, দেশের রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করা তাঁর সারা জীবনের সেরা সম্মান। নিজের 'দুর্দান্ত সমর্থক'দের  প্রতি তিনি বলেন, তিনি জানেন যে তাঁর মতো সকলেই হতাশ। তবে, এই পরাজয়ে তাঁদের যাত্রা শেষ হযনি, বরং এটা তাঁদের 'অবিশ্বাস্য যাত্রা'র শুরু, বলে দাবি করেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ট্রাম্পের এই বিবৃতি তাঁর নির্বাচন পরবর্তী অবস্থানের একেবারে বিপরীত। কোনও প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও, নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই নির্বাচনে প্রতারণার অভিযোগ তুলে ট্রাম্প তিনিই বিজয়ী হয়েছেন বলে জেদ ধরেছিলেন। বুধবারও ক্যাপিটল ভবনে হামলার ঠিক আগে এক জনসমাবেশে হাজার হাজার সমর্থকদের তিনি যে বলেছিলেন রাজধানীতে নির্বাচনের ফলাফলের প্রতিবাদ জানাতে। আর তারপরই উন্মত্ত জনতা মার্কিন সংসদ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে জড়ো হয়েছিলেন। সেখান থেকেই ছড়িয়ে পড়ে নজিরবিহীন হিংসা। বুধবারের এই হামলার পরই ট্রাম্পের পদত্যাগের দাবি উঠেছিল। এমনকী তাঁকে ইমপিচ বা রাষ্ট্রপতির পদ থেকে গদিচ্যুত করার দাবিও উঠেছিল।

তবে, পরাজয় স্বীকার করলেও বৃহস্পতিবার, ২০২৪ সালে ফের প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে নাম লেখানোর ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প। পরাজয় স্বীকারের দিনও তিনি নিজের মেয়াদকে, মার্কিন রাষ্ট্রপতিদের ইতিহাসের সর্বকালের সেরা প্রথম মেয়াদ বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি পদের সেরা প্রথম মেয়াদের সমাপ্তি ঘটলেও, আমেরিকাকে আবারো শ্রেষ্ঠ করে তোলার লক্ষ্যে তাঁদের লড়াইয়ের সূচনা হল।