সংক্ষিপ্ত
- মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বচনে জয়ের জন্য অভিনন্দন
- বাইডেন ও হ্যারিসকে অভিনন্দন জিংপিং-এর
- দুই দেশের মধ্য সম্পর্ক উন্নয়নের আশা
অবশেষে সুর নরম করলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ের জন্য বুধবার তিনি অভিনন্দন জানান ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনকে। একই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্কের বাতাবরণ তৈরি হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি বাইডেনকে অভিনন্দন জানানোর তালিকার তাঁর নাম অনেকটাই নিচের দিকে রয়েছে। ১০ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতে শুরু করে। তার দিন তিনেকের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যায় হোয়াইট হাউসের দরজা খুলছে ডেমোক্র্যাটদের জন্য। কিন্তু তারও দীর্ঘ সময় পর চিনের থেকে অভিনন্দন বার্তা গেল সুদূর আমেরিকায়।
চিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম সিংহুয়া জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতি শি জিংপিং তাঁর অভিনন্দন বার্তায় বলেছেন, চিন-মার্কিন সুসম্পর্ক সুস্থ ও স্থিতিশীল উন্নয়নের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়টি কেবলমাত্র দুই দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। বিশ্বের কাছেই তা মঙ্গলজনক। শি বলেছেন উভয় দেশই তাদের পারস্পরিক দ্বন্দ্ব সরিয়ে রেখে শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়েদেবে। জিংপিং জো বাইডেনের পাশাপাশি উপরাষ্ট্রপতি ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিসকেও তাঁর জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বর্তমান মার্কিন রাষ্ট্রপতি ও রিপাব্লিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমদিকে জো বাইডেনের জয়কে স্বীকৃতি দিতে রাজি হননি। ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখান থেকে তাঁকে কার্যত খালি হাতে ফিরতে হয়। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে চিনও জো বাইডেনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানাননি। যাই হোক সব দ্বিধা কাটিয়ে নির্বাচনের বেশ কয়েক দিন পরেই বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছে চিন।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিং গত ১৩ নভেম্বর একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের বিষয়ে তাঁরা নজর রাখছেন। জয়ের জন্য বাইডেনের পাশাপাশি কমলা হ্যারিসকেও তাঁরা স্বাগত জানিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেছিলেন, চিনারা মার্কিন নাগরেকদের সম্মান ও শ্রদ্ধা করে। মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন ও সমস্ত বৈধ পদ্ধতি অনুসরণ করবে। চিনের এই নেতিবাচক মনোভাব দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে সাহায্য করবে বলেই আশা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে মার্কিন চিন সম্পর্ক প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছিল। প্রেসিডেন্ট নিক্সনের পর এই প্রথম দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এতটা খারাপ হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে শুল্ক যুদ্ধ থেকে শুরু করে দক্ষিণ চিন সাগরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতার সাক্ষী ছিল বিশ্ব। করোনা মহামারির জন্য ট্রাম্প চিনকে দায়ি করেছিলেন। আগামী দুই শক্তিশালী দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপন হবে বলেও আশা প্রকাশ করছেন অনেকে।