সংক্ষিপ্ত

ভারতের তিন এলাকাকে জুড়ে নতুন মানচিত্র বানিয়েছে
সংবিধান সংশোধনী বিলও পাস করিয়েছে সংসদের নিম্ন কক্ষে
ভারতীয়দের জখম ও আটক ছাড়াও গুলি করে মেরেছে নেপাল পুলিশ  
এর পিছনে রয়েছে চিনের উসকানি আর তাতেই সক্রিয় হয়ে উঠছে নেপাল   

 

ভারতের উত্তরাখণ্ডের তিন এলাকাকে নিজেদের ম্যাপে ঢুকিয়ে নিয়ে দেশের নতুন মানচিত্র তৈরি করেছে নেপাল। সেখানেই থামেনি তারা। প্রয়োজনীয় সংবিধান সংশোধনী বিলও পাস করিয়েছে নেপাল সংসদের নিম্ন কক্ষে।
বিলটি জাতীয় সংসদে পেশ করেন নেপালের আইন, বিচার ও সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী শিবময় তুম্বাহাংহে। ওই বিলে সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেন প্রধান বিরোধী দল নেপালি কংগ্রেসের সাংসদরা। তারপর ওলি সরকারের তরফে বিলটি পেশ করেন নেপালের আইনমন্ত্রী।
বার বার ভারতের তরফে আপত্তি জানানো সত্ত্বেও তা উড়িয়ে দিয়ে কেন নেপাল ফের বিল পাশে সক্রিয় হল? কেন বিতর্কিত এলাকাগুলি ম্যাপে অন্তর্ভুক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠল নেপালের ওলি সরকার? কূটনৈতিকদের ব্যাখ্যা, এর পিছনে রয়েছে চিনের মদত।  
ভারত-নেপাল বিদেশসচিব পর্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে তা স্থগিত রয়েছে। প্রকোপ কমলে সেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক যখন হবে। তবে তখনও দু’দেশের সঙ্ঘাত চরমে উঠতে পারে বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।


সীমান্ত সমস্যা নিয়ে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যেই মাত্র দু’দিন আগে নেপাল বর্ডার গার্ড এক ভারতীয় তরুণকে গুলি করে মেরেছে। নেপাল সীমান্তে বিহারের সীতামারি জেলায় ওই তরুণকে গুলি চালানোর পাশাপাশি, ২ জনকে জখম ও আরও ২ জনকে আটকও করে নেপালের সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
নেপালের তরফে এ ধরণেরর আচরণ খুবই আশ্চর্যজনক হলেও এই আস্ফালনের পিছনেও চিনের প্রচ্ছন্ন সমর্থন রয়েছে বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা। কাঠমান্ডু ও নয়াদিল্লির মধ্যে সুসম্পর্কে চিড় ধরাতে চায় বেজিং। সেই পথে হেঁটে বেজিং চাইছে কোনও একটা ইস্যুকে সামনে এনে ভারতের বিরুদ্ধে নেপালকে উস্কে দিতে।
করোনা আতঙ্কের জেরে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠছে বিশ্বজুড়ে। আর তারই মধ্যে একটি অতি ক্ষুদ্র দেশ নেপাল ভারতের সঙ্গে পাঙ্গা নেওয়ার সাহস দেখাচ্ছে শুধু মাত্র চিনের মদত ও উসকানিতে। চাপে পড়ে লাদাখ সীমান্ত থেকে চিনা সেনা পিছেয়ে নিতে বাধ্য হওয়ায় ভিতরের চাপা ক্ষোভকে এভাবে প্রসমিত করতে চাইছে চিন।  
ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে নেপাল ভারতের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে বহুদিন ধরেই চিন প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে। তবে তা নিয়ে ভারত-নেপালের মধ্যে এতদিন কোনও অশান্তি হয়নি। এবার তা শুরু করিয়ে দিতে সচেষ্ট হয়ে উঠেছে চিন।
সম্প্রতি সিকিম ও লাদাখে চিনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে ভারতের সংঘর্ষ এবং তার পরেই কাঠমান্ডুর আপত্তির মধ্যে যোগসূত্র দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। ধারচুলা থেকে লিপু লেখ পর্যন্ত গড়া রাস্তা নিয়ে নেপালের আপত্তির পিছনে চিনের প্রভাব রয়েছে তা কূটনীতিকরা চিনের নামোল্লেখ না করলেও জলের মতোই স্বচ্ছ।