সংক্ষিপ্ত

গণেশের বাহন না কোনও অজানা রাক্ষুসে প্রাণী

মেক্সিকোর নিকাশীনালায় মিলল দৈত্যাকার ইঁদুর

সাফাইকর্মীরা উপরে তুলে আনলেন তাকে

পিছনে রয়েছে মজাদার কাহিনি

হিন্দু পুরাণ অনুসারে গণেশ-এর বাহন ইঁদুর। হাতির মাথা এবং নধর ভুঁড়িসহ বিশাল বপুর গণপতিকে পুঁচকে ইঁদুর কীকরে বহন করে তা ভেবে বিস্মিত হন অনেকেই। এবার মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটির নিকাশী ব্যবস্থার মধ্যে এমন এক দৈত্যাকার ইঁদুরের সন্ধান পাওয়া গেল যা আকারে মানুষের চেয়েও বড়। বলা যেতে পারে গণপতিকে বহন করার উপযুক্ত।

স্থানীয় সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি নিকাশী নালা বন্ধ হয়ে গিয়ে মেক্সিটো সিটি ও তার আশপাশের এলাকায় তীব্র বন্যা দেখা দিয়েছিল। বন্যার প্রকোপ কমার পরই নিকাশীকর্মীরা মেক্সিকো সিটির ভূগর্ভস্থ নিকাসী ব্যবস্থা সাফাই করার কাজে নেমেছিলেন। প্রায় ২২ টন আবর্জনা বের হয় নিকাশী নালা থেকে। আর এই কাজ করতে গিয়েই মাঝখানে আতঙ্কে থমকে গিয়েছিলেন তাঁরা। কারণ, নিকাশী নালার মাঝপথেই দেখা মিলেছিল ওই দৈত্যাকার, লোমশ ইঁদুরটির।

কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরও ওই রাক্ষুসে প্রাণীটা নড়াচড়া না করায় আস্তে আস্তে তার কাছে এগিয়েছিলেন ওই কর্মীরা। কাছে যেতেই তারা দেকেন ওই বিশালাকার ইঁদুরটি আসলে একটি 'হ্যালোইন প্রপ'। অর্থাৎ হ্যালোইন-ের সময় সাজানোর জন্য ওই ইঁদুরটি তৈরি করা হয়েছিল। ২০ টন আবর্জনার সঙ্গে সঙ্গে ওই ইঁদুরটিকেও নালা থেকে উরে তুলে আনেন সাফাই কর্মীরা। পরে হোস পাইপে করে জল দিয়ে ধুয়ে ওই ইঁদুরের পুতুলটিকে তারা সাফও করেন। সেই সাফ করার একটি ছোট ভিডিও ক্লিপ বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

পরে, এভিলিন লোপেজ নামে এক মহিলা জানান, কয়েক বছর আগে হ্যালোইনের সময় তিনিই ওই বিশাল ইঁদুরটি তৈরি করেছিলেন। তবে, বেশ কযেকদিন আগে ঝড়বৃষ্টিতে সেটা ভেসে গিয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, সেই সময়ে তিনি ওই হ্যালোইন প্রপটি উদ্ধারের জন্য ড্রেনগুলিতে খোঁজ করতে চেয়েছিলেন। অনেকের কাছে সাহায্যও চেয়েছিলেন। কিন্তু, কেউ এগিয়ে আসেনি। তবে ভূগর্ভস্থ নিকাশী ব্যবস্থায় সেটি কীভাবে চলে গেল, তা ওই মহিলাও বলতে পারেননি। নিকাশী কর্মী ও শহরের অন্যান্যদেরও এই বিষয়টি ধাঁধায় ফেলেছে।