সংক্ষিপ্ত
- নতুন রোগের প্রাদুর্ভাব জার্মানিতে
- শূকরের রোগ ছড়িয়ে পড়ছে
- আবারও দেখা দিয়ে পারে আর্থিক সংকট
- বন্ধ হতে পারে মাংস রফতানি
করেনাভাইরাসের মহামারির মধ্যেই নতুন বিপদ। জার্মিনে মাথাচাড়া দিচ্ছে শূকরের রোগ। বিশ্বের সব থেকে বেশি শূকর রফতানি করে জার্মানি। কিন্তু রোগের প্রাদুর্ভাবের কারণে ইতিমধ্যে ইউরোপের দেশগুলি জার্মানি থেকে শূকর আমদানি করা বন্ধ করে দিয়েছে। ব্র্যান্ডেনবার্গে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারের সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা গেছে। বুধবার জার্মানির কৃষি মন্ত্রকের তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানান হয়েছে ভাইরাসটি যদি ১০ দিনের মধ্যে প্রচুর শূকরকে সংক্রমিত করতে পারে তাহলে জীবাণুটি মানুষের পক্ষে ক্ষতিকারক নয়।
এমনিতেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই চালিয়েছে জার্মানি। নাগরিকদের জীবন সুরক্ষিত করতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জার্মানির অর্থনীতি। এই অবস্থায় নতুন রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ায় রীতিমত উদ্বিগ্ন প্রশাসন। কারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর লকডাউনের কারণে দেশটির অর্থনীতি সবথেকে খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ইউরোপের সবথেকে বেশি শূকরের মাংস রফতানিকারক দেশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে জার্মানি। এখানে উৎপন্ন হওয়া মাংসা অধিকাংশ আমদানি করে চিন। কিন্তু নতুন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় কিছুটা হলেও ক্ষতির মুখে পড়েছে বাণিজ্য। জার্মানির শূকরের মাংস রফতানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়ে সুবিধে পাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কারণ সেই দেশের মাংস চড়া দামে বিক্রি করা সম্ভব হবে।
বুনো শূকরের মধ্যেই আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার ছড়িয়ে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু বিশেষ সাবধানতা অবলম্বনের জন্য আপাতত শূকরের মাংস রফতানির অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন। পাশাপাশই স্থানীয়দেরও নির্দিষ্ট শর্তের ভিত্তিতে শূকরের মাংস বিক্রি করা হবে। জার্মানির পাশাপাশি প্রতিবেশী পোল্যান্ডেও এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজারেরও বেশি, যাদের মধ্যে অধিকাংশই বুনো শূকর। আবর্জনা খাবার জন্যই এই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে বলেও মনে করছেন অনেকে।