সংক্ষিপ্ত

" খালিস্তান জিন্দাবাদ ভারতবর্ষ মুর্দাবাদ " লিখে সমালোচলার মুখে খালিস্তানীরা।  বিগত বেশ কিছু বছর ধরে খালিস্তানীরা যেভাবে হিন্দু মন্দিরগুলোকে ঘৃণার উৎসস্থল বানাতে  মরিয়া হয়ে উঠেছেন।তারই শাস্তির দাবিতে সোচ্চার কানাডার সাংসদগণ ও  প্রবাসী ভারতীয়রা 
 

মন্দিরের গায়ে প্রকাশ্যে ভারত বিরোধী স্লোগান লেখা। আর সেই স্লোগানের  তীব্র ভাষায় রীতিমতো জর্জরিত ভারতবর্ষের হিন্দু সমাজ। প্রতিবাদের এই অভিনব আঙ্গিকে রীতিমতো নিন্দার ঝড় উঠেছে বিশেষজ্ঞমহলে।  প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য ভারতবর্ষই একমাত্র দেশ যেখানে ধর্মীয় ভাবাবেগ মানুষদের কাছে অন্ত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।  ভারতবর্ষের মতো জায়গায়, যেখানে ধর্ম মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে , সেই জায়গায় ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগিয়ে যে সমাজের মাথারা বিভিন্ন স্বার্থসিদ্ধি করবেনই তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু ধর্মীয় মেরুকরণ যাদের সবচেয়ে বেশি বিপদে ফেলে তা হলো সাধারণ মানুষ।  তাদের হয়ে কথা বলতে গিয়েই রীতিমতো ভারতবিরোধী কথা বলে বসলো প্রতিবাদীরা 

ঘটনাটি ঘটেছে কানাডার স্বামীনারায়ানা মন্দিরে।বিষয়টি  ওটায়ার ভারতবর্ষ হাই কমিশনের নজরে আসতেই তারা  তীব্র প্রতিবাদ জানায় বিষয়টির। এবং টুইটের মাধ্যমে মন্দির কমিটির কাছে  এই জঘন্য অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তির অবিলম্বে শাস্তির দাবি করেন। কানাডার কিছু পরিষদীয় সদস্য ও ভারতবর্ষের কিছু হিন্দুত্ববাদীরা এই ঘটনার চরম নিন্দা করেন। সামাজিক মাধ্যমে এনিয়ে আলোড়ন উঠতেই বিষয়টি নজরে আসে ভারতবর্ষ হাই কমিশনের।  তারা কানাডিয়ান একটি সংস্থাকে এই বিষয়ে তদন্তের আবেদন জানান।  

কি লেখা ছিল মন্দিরের গায়ে ? লেখা ছিল " খালিস্তান জিন্দাবাদ ভারতবর্ষ মুর্দাবাদ "। কানাডার পরিষদীয় সদস্য  এবং কিছু হিন্দু কানাডিয়ান দিয়ে বলে, ভারতবর্ষের হিন্দুদের ঐতিহ্যকে প্রশ্নের মুখে ফেলছে খালিস্থানিদের এমন কার্যকলাপ।  তাদের দাবি,  হিন্দু মন্দিরগুলিকে বেশ কিছু বছর ধরে টার্গেট করা হচ্ছে।  খালিস্তানীরা এই মন্দিরগুলোকে ঘৃণার উৎসস্থল বানাতে  মরিয়া হয়ে উঠছেন।  যেটি অত্যন্ত ঘৃণ্য একটি অপরাধ।  এইরকম অপরাধীদের যথাযোগ্য শাস্তি দেয়া উচিত। 

কানাডার সংসদ রুবি সাহাত তার টুইটবার্তায় বলেন মন্দিরের দেওয়ালে এইরকম স্লোগান লেখা শুধু ঘৃন্যই নয় অসম্মানজনক। প্রকৃত অপরাধীদের অবিলম্বে শাস্তি পাওয়া উচিত।