সংক্ষিপ্ত

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জুন মাসের শেষের দিকে G7 শীর্ষ সম্মেলনে জার্মানির অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাঁর সফরের সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদীর আগমনে একটি আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

ইউরোপের প্রাণকেন্দ্রের মন জয় করলেন মোদী। ২০২২ সালের প্রথম বিদেশ সফরে জার্মানি গিয়ে ভারতকে নয়া উচ্চতায় প্রতিষ্ঠা করলেন তিনি। দোসরা মে জার্মানি, ডেনমার্ক এবং ফ্রান্স সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের বহু পুরোনো বন্ধু জার্মানি। সেই সম্পর্ককে যেন আরেকবার ঝালিয়ে নেওয়া। বিশেষত ইউরোপের আরও দুই দেশ  রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের আবহে এই পুরোনো বন্ধুকে পাশে পাওয়া ভারতের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

সেই অনুঘটকের কাজই সারলেন মোদী। ভারত জার্মানি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে নয়াদিল্লিকে নিজেদের সুপার পার্টনার বলে সম্বোধন করল বার্লিন। সোমবার বার্লিনে ফেডারেল চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন মোদী। মূলত ভারত-জার্মানি ইন্টার-গভর্নমেন্টাল কনসালটেশনের (IGC) ষষ্ঠ সংস্করণে এই দুই নেতা যৌথ সভাপতিত্ব করেন।

দ্বিবার্ষিক IGC হল একটি অন্যধরণের আলোচনার প্ল্যাটফর্ম, যেখানে বিভিন্ন রাষ্ট্রের নেতাদের দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ছবি দেখা যায়। উল্লেখ্য, চ্যান্সেলর স্কোলসের সাথে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম IGC হতে চলেছে এই আলোচনা। এছাড়াও নতুন জার্মান সরকারের প্রথম গভর্মেন্ট টু গভর্মেন্ট আলোচনা এটি। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে চ্যান্সেলর স্কোলজ আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। নরেন্দ্র মোদীর এই সফর নিয়ে যে তারা বেশ আশাবাদী, তা জানিয়েছে জার্মান প্রশাসন। 

প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে বৈঠকের পরে প্রেস ব্রিফিং করেন এই দুই নেতা। জার্মানির তরফে চ্যান্সেলর স্কোলজ বলেন, "অর্থনৈতিক দিক থেকে, নিরাপত্তা নীতির শর্তাবলী এবং জলবায়ু-রাজনৈতিক শর্তে ভারত এশিয়ায় জার্মানির জন্য একটি সুপার অংশীদার।" জার্মানি আরও জানিয়েছে “ভারত এখানে আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের মধ্যে একটি। উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন মুষ্ঠিমেয় কিছু দেশ নয়, বিশ্বের প্রতিটি দেশ সমান ভাবে সেই উন্নয়নের অংশীদার হবে। এই বিশ্বাসে জার্মানির মতই বিশ্বাস করে ভারত।” 

ভারতের সাথে জার্মানির বিশেষ সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে চ্যান্সেলর বলেন, ভারত সরকারের সঙ্গে তাঁর প্রশাসনের প্রথম আন্তঃসরকারি আলোচনা হওয়ায় তিনি আনন্দিত বোধ করছেন। চ্যান্সেলর আরও বলেন “আমরা আনন্দিত যে এই সরকারের প্রথম আন্তঃ-সরকারি আলোচনা ভারত সরকারের সাথে হয়েছে। আমার কাছে এটি দুই দেশের সম্পর্কের বিশেষ দিক স্থাপন করে।"

এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জুন মাসের শেষের দিকে G7 শীর্ষ সম্মেলনে জার্মানির অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাঁর সফরের সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদীর আগমনে একটি আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। তার তিন দিনের সফরে, নর্ডিক দেশগুলির নেতাদের সাথে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর মঙ্গলবার ডেনমার্কে যাওয়ার কথা রয়েছে। 

আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজে অনুপস্থিত, 'মুখ্যমন্ত্রীর হয়তো ইফতারের নিমন্ত্রণ ছিল', কটাক্ষ দিলীপের

আরও পড়ুন- সেমি কন্ডাক্টর শিল্পের প্রচার প্ল্যাটফর্ম সেমিকন ইন্ডিয়ার প্রশংসা রাজীব চন্দ্রশেখরের

আরও পড়ুন- বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে বিজেপিতে গণইস্তফা, তথাগত-অনুপমের কথাই কি সত্যি হল এবার