সংক্ষিপ্ত
সোমবার ভোরে তিন দিনের বিদেশ সফরে জার্মানির রাজধানী বার্লিনে পৌঁছন মোদী। আর সেখানে তিনি পৌঁছনোর পর থেকেই তাঁকে যেভাবে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছিল তা দেখে আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী। এয়ারপোর্টে বিমান থেকে নামতেই শুরু অভ্যর্থনা পর্ব।
এই মুহূর্তে বার্লিনে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেখানে উপস্থিত ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। বাচ্চাদের সঙ্গে গল্পও জুড়ে দিতে দেখা যায় তাঁকে। সবার সঙ্গেই মিশে গিয়েছিলেন তিনি। তার মধ্যে একজনের হাতে আঁকা নিজের ছবি দেখে আপ্লুত হয়ে যান মোদী। এরপর সেই খুদের গাল টিপে আদর করেন তিনি। আরেক খুদের গলায় দেশাত্ববোধক গান শুনে মুগ্ধ হয়ে যান। এমনকী, গানের তালে তুড়ি মেরে তাল দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সোমবার ভোরে তিন দিনের বিদেশ সফরে জার্মানির রাজধানী বার্লিনে পৌঁছন মোদী। আর সেখানে তিনি পৌঁছনোর পর থেকেই তাঁকে যেভাবে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছিল তা দেখে আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী। এয়ারপোর্টে বিমান থেকে নামতেই শুরু অভ্যর্থনা পর্ব। সরকারি তরফে অর্ভ্যথনা শেষে জামার্নির বার্লিন-ব্র্যান্ডেনবার্গ এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে তিনি প্রথমে যান হোটেল আডলোন কেম্পিনস্কি। আর সেখানে মোদীকে স্বাগত জানানোর জন্য অপেক্ষা করছিলেন জার্মানির প্রবাসী ভারতীয়রা। প্রধানমন্ত্রী পা রাখতেই "বন্দে মাতরম", "ভারত মাতা কি জয়" ধ্বনিতে ভরে ওঠে গোটা চত্বর।
স্বাগত শুভেচ্ছায় মুগ্ধ হন মোদী। সেকথা নিজে টুইট করেও জানান। তিনি লেখেন, “বার্লিনে তখন সবে ভোর হচ্ছে। কিন্তু বহু ভারতীয় এসেছিলেন অভ্যর্থনা জানাতে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে চমৎকার লাগল। প্রবাসীরা যা অর্জন করেছেন তাতে ভারত গর্বিত।” আর প্রধানমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে কেউ তাঁকে পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন তো কেউ আবার করমর্দন করেন।
আরও পড়ুন- মোদীর জার্মানি সফর উসকে দিল তিন দশক আগের স্মৃতি, ভাইরাল হল প্রধানমন্ত্রীর পুরোনো ছবি
সেখানে উপস্থিত ছিল বহু খুদে। কেউ এঁকে এনেছিল তাঁর পোট্রের্ট। আবার কেউ শোনাল গান। আর ছোট্ট হাতের এমন নিখুঁত ছবি দেখে আপ্লুত হয়ে যান মোদী। খুদে শিল্পীকে তিনি হতভম্ব হয়ে জিজ্ঞাসা করেন, এমন সুন্দর পোর্ট্রেট আঁকতে তাঁর কতক্ষণ সময় লেগেছে। সেখানে উপস্থিত সবার সঙ্গে তিনি ছবিও তোলেন। এর পরেই এক খুদের সঙ্গে আলাপ হয় প্রধানমন্ত্রীর। সে একটি দেশাত্মবোধক হিন্দি গান শোনায়, “জন্মভূমি ভারত হ্যায় কর্মভূমি ভারত।” যার অর্থ, জন্মভূমি ভারত, কর্মভূমিও ভারত। উপস্থিত জনতা ওই গানের সঙ্গে করতালি দেয়। সব মিলিয়ে আবেগঘন এক মুহূর্ত তৈরি হয়। গান শুনে খুশি হন মোদীও। আদর করে আশীর্বাদ করেন খুদেকে। আর সেই মুহূর্তের ভিডিও নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার পেজেও দেন মোদী। যা এই মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
কটা দিন খুবই ব্যস্ত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। একেবারে ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। তিন দেশের ৮ রাষ্ট্রনায়কের সঙ্গে ২৫টি বৈঠকের কথা রয়েছে। জার্মানিতে প্রথমেই নবনিয়োজিত চ্যান্সেলর ওলফ স্কুলজ-এর সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে তাঁর। এরপর এই সফরে প্যারিসেও যাবেন তিনি।