সংক্ষিপ্ত

পাকিস্তানে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সন্ত্রাসবিরোধী মহড়া। মহড়ায় অংশগ্রহণের জন্য তিন সদস্যের একটি দল পাঠাচ্ছে নয়াদিল্লি।

ভারত (India) আগামী সপ্তাহে পাকিস্তানে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (Shanghai Cooperation Organisation) বা এসসিও (SCO) সন্ত্রাসবিরোধী মহড়ায় (anti-terror exercise in Pakistan) অংশ নেবে। মহড়ায় অংশগ্রহণের জন্য তিন সদস্যের একটি দল (3-member team) পাঠাচ্ছে নয়াদিল্লি। জাতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী এসসিও সামিটে ভারত যোগ দিতে চলেছে। এই বৈঠক হবে পাকিস্তানের নওশেরা জেলার পাব্বিতে (Pabbi in Pakistan’s Nowshera district)। 

বৈঠকে এসসিও সদস্য দেশগুলির মধ্যে সন্ত্রাস-বিরোধী কার্যকলাপের পারস্পরিক সহযোগিতা সম্পর্কে আলোচনা চলবে। ভারত জানিয়েছে এসসিও মহড়ায় অংশগ্রহণ করে পাকিস্তানের অবস্থান এবং সীমান্ত সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে সুর চড়ানো হবে। 

পাকিস্তানকে মারতে হবে- চোয়াল শক্ত করে সার্জিকাল স্ট্রাইকের প্ল্যানিং করেছিল ভারতীয় সেনা

রিপোর্ট জানাচ্ছে মহড়ায় অংশগ্রহণ করা নিয়ে ভারতই সর্বশেষ দেশ, যারা নিজেদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করেছে। উল্লেখ্য ন্যাশনাল সিকিওরিটি কাউন্সিলের তিন সদস্য পাকিস্তান যাচ্ছেন বলে খবর। এই মাসের শুরুর দিকে, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত ওরেনবার্গ প্রদেশে অনুষ্ঠিত বেশ কয়েকটি দেশের সন্ত্রাসবিরোধী মহড়া দেখতে রাশিয়া সফর করেছিলেন। ১৩ই সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া প্রায় দুই সপ্তাহব্যাপী “Exercise Peaceful Mission”- এর জন্য ভারত ২০০ জনের একটি দল পাঠিয়েছিল।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এসসিও বৈঠকে মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সুর চড়ান। পাকিস্তানের বৈঠকে সেই রেশই বজায় রাখবে ভারত। তাজাকিস্তানের দুশানবেতে হওয়া ২১ তম এসসিও বৈঠকের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে তিনি বলেছিলেন, মৌলবাদ এবং আস্থার ঘাটতি মধ্য এশিয়ার শান্তির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এবং আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী এই চ্যালেঞ্জকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছে।

আরও পড়ুন -- জোরালো ভূমিকম্পে কাঁপল বাংলার উত্তর, আতঙ্কে রাস্তায় মানুষ

এদিন মোদী বলেন যে কোনও দেশে ক্ষমতায় থাকা সরকারের মধ্যে সেদেশের সংখ্যালঘু, মহিলা ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর প্রতিনিধি থাকা জরুরি। কিন্তু আফগানিস্তানে সে ছবি দেখা যাচ্ছে না। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসসিও-সিএসটিও আউটরিচ সামিটে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, আফগানিস্তানে নতুন ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নারী, সংখ্যালঘু এবং আফগান সমাজের সকল অংশের প্রতিনিধিত্ব অপরিহার্য, যা করা হচ্ছে না।

এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, তালিবানরা ১৫ আগস্ট আশরাফ গনির নেতৃত্বাধীন আফগানিস্তানের জবরদখল নেয়। বলাই বাহুল্য, সরকারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা ছাড়াই দেশ দখল করে তারা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে তালিবানরা মন্ত্রী পরিষদে সংখ্যালঘু, অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী এবং মহিলাদের অন্তর্ভুক্ত করেনি।

আফগানিস্তানে চলা সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মোদী বলেন ভারতের মত প্রতিবেশী দেশগুলোর ক্ষতি হচ্ছে আফগানিস্তানের পরিবেশ থেকে। এই প্রেক্ষাপটে আঞ্চলিক সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও মানব পাচারের সংখ্যা এই উপমহাদেশে বাড়াতে পারে। 

"