সংক্ষিপ্ত
- আজ ২৫ জানুয়ারি চিনা নববর্ষ
- ইতিমধ্যেই করোনা নিয়ে চিনে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে
- এর মধ্যেই প্রাণ হারিয়েছে ৪১ জন মানুষ
- সংক্রমন যাতে না ছড়ায় তাই সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে
করোনা ভাইরাস। নামটা শুনলেই প্রত্যেকেই যেন আতঙ্কিত। করোনা আতঙ্কে ইতিমধ্যেই ভয়ে কাঁপছে চিন। মুহূর্তের মধ্যে একজনের থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। মানুষের নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গেই ছড়িয়ে যাচ্ছে এই রোগের জীবানু। কিন্তু এই করোনা ভাইরাস আসলে কী। আতঙ্কের আর এক নাম করোনা ভাইরাস। করোনা ভাইরাসের বাহক হল মানুষ। মানুষের সংস্পর্শেই সংক্রমিত হচ্ছে এই করোনা ভাইরাস । দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর যা নিশ্চিত করলেন চিনের চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন-করোনা ভাইরাস নিয়ে ১১ পয়েন্টের 'চেকলিস্ট', যা আপনাকে বাঁচাবে বিপদ থেকে...
ইতিমধ্যেই করোনা নিয়ে চিনে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর মধ্যেই প্রাণ হারিয়েছে ৪১ জন মানুষ। এহেন পরিস্থিতিতে বেজিংয়ে ভারতীয় দূতাবাসে সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বাতিল করা হল। কয়েকদিন আগে ভারতীয়দের কথা ভেবে হটলাইট চালু করল চিনের ভারতীয় দূতাবাস। ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকই সমস্ত জনসভা বাতিল করা হয়েছে। এবং অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই সংক্রমন যাতে না ছড়ায় সেই কথা চিন্তা করেই সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-করোনা ভাইরাসের বাহক মানবদেহ, নিশ্চিত করল চিন...
আজ ২৫ জানুয়ারি চিনা নববর্ষ। প্রবাসীরা এই দিনটাই বাড়ি ফিরে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান, উৎসবে মেতে ওঠে। এবারের সেই ছবিটাও পুরো উল্টো। নিঃশব্দেই শরীরে দানা বাঁধছে এই মারণ রোগ। করোনা ভাইরাস যখন ধরা পড়বে তখন মৃত্যুর দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবেন আপনি। ভয়াবহ এই মারণ রোগ আটকাতে ইতিমধ্যেই তৎপর সমস্ত দেশ। নতুন করে এই রোগে ১০০দ জন আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে তা নিশ্চিত করতে ইউহান সহ ১৩ টি শহরকে বাকি দেশের থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংক্রমণ না থাকলেও চিন ফেরত ব্যক্তিরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।