সংক্ষিপ্ত
- করোনার দাপটে দেশের সর্বোচ্চ নেতার উপদেষ্টা মারা গিয়েছেন
- দেশজুড়ে আক্রান্তের সংখ্য়া বাড়ছে হু-হু করে
- এই পরিস্থিতিতে আইএমএফের দ্বারস্থ হল ইরান
- প্রায় ৬০ বছর পর আইএমএফের কাছে ৫ বিলিয়ান অর্থ সাহায্য় চাইল তারা
দেশের সর্বোচ্চ নেতা খোমেইনির অন্য়তম উপদেষ্টা মারা গিয়েছেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। মৃতের তালিকায় রয়েছেন আরও বেশ কিছু ভিআইপি। দেশজুড়ে আক্রান্ত অসংখ্য়। গোটা দেশে কার্যত মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে এই সংক্রমণ। এমতাবস্থায়, করোনার মোকাবিলায় প্রায় ৬০ বছর পর আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার বা আইএমএফের দ্বারস্থ হতে চলেছে ইরান।
জানা গিয়েছে, আইএমএফের কাছে ৫ বিলিয়ন ডলাক ত্রাণ চেয়েছে ইরান। দেশে করোনার সংক্রমণ যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে করে এর মোকাবিলায় প্রয়োজন অর্থ। ইরানের কেন্দ্রীয় ব্য়াঙ্কের গভর্নর আবদুল নাসির হেমাতি বিষয়টি প্রকাশ্য়ে এনেছেন। তিনি তাঁর ইনস্ট্রগ্রাম অ্য়াকাউন্টে সরকারিভাবে আইএমএফের কাছে এই অর্থ সাহায্য়ের আবেদন করেছেন। যদিও আইএমএফের কাছে এখনও পর্যন্ত কোনও জবাব আসেনি। তবে যদি আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার এই সাহায্য়ের জন্য় এগিয়ে আসে, তাহলে বলা যেতে পারে গত প্রায় ৬০ বছরের মধ্য়ে এরকম ঘটনা ঘটছে। কারণ, ইরান শেষবারের মতো আইএমএফের দ্বারস্থ হয়েছিল ১৯৬০-৬২ সালে।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে প্রতিষ্ঠিত এই আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার বা আইএমএফ গত সপ্তাহেই ঘোষণা করেছিল যে, গরিব বা উন্নয়নশীল দেশগুলোকে তারা ৫০ বিলিয়ন ডলার অর্থ সাহায্য় করতে রাজি আছে নামমাত্র সুদে বা একেবারে বিনা সুদে। যে দেশগুলো আপাতত করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, সেই প্রেক্ষিতেই ইরান এই অর্থ সাহায্য় চেয়েছে আইএমএফের কাছে। তবে এখানে একটা বড়সড় প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। আর তা হল, ইরানের ওপর এই মুহূর্তে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আর যেহেতু আমেরিকা আইএমএফকে সবচেয়ে বেশি অর্থ দেয়, তাই তাদের আপত্তি থাকলে ইরান এই অর্থ সাহায্য শেষ অবধি পেতে পারবে কিনা তা লাখ টাকার প্রশ্ন।