সংক্ষিপ্ত

অস্বাভাবিক আচরণ করছে আকাশগঙ্গা ছায়াপথ

ঠিক মধ্যস্থল থেকেই গুলির মতো বের হচ্ছে ঠান্ডা গ্যাস

কী কারণে এটা হচ্ছে তা এখনও বুঝতে পারেননি বিজ্ঞানীরা

এরপর কী ঘটতে চলেছে তাও অজানা

 

মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি বা আকাশগঙ্গা ছায়াপথ, অর্থাৎ যে ছায়াপথে আমাদের সৌরজগত অবস্থিত, সেই ছায়াপথে অস্বাভাবিক কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা গিয়েছে। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ছায়াপথের ঠিক কেন্দ্রস্থল থেকে বন্দুকের গুলির বের হবার মতো করে একটি ঘন এবং ঠাণ্ডা গ্যাস বের হচ্ছে। এই মহাজাগতিক ঘটনাটি প্রথম লক্ষ্য করেন আন্তর্জাতিক গবেষকদের একটি দল। নেচার জার্নালে তাঁরা এই নিয়ে সতর্ক করেছেন।

তাঁরা জানিয়েছেন এই গ্যাসের নিঃসরণ কিন্তু চরম ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। পৃথিবী তো বটেই সমগ্র ছায়াপথের ভবিষ্যতের জন্যই এই ঘটনা বিপজ্জনক। কারণ, তারা যখন কোনও গ্যালাক্সি প্রচুর পরিমাণে ভর নিঃসরণ করে, তখন বুঝতে হবে নক্ষত্র গঠনের মতো কোনও একটি উপাদান সে হারিয়ে ফেলেছে। এই ক্ষতির পরিমাণ যদি খুব বেশি হয়, তবে তা মোটেও নক্ষত্র গঠন করতে সক্ষম হবে না।

এই অবস্থায় বিজ্ঞানীরা বলছেন, মিল্কিওয়ে-তে নক্ষত্র তৈরির মতো এই বিপুল পরিমাণের গ্যাস নষ্ট হওয়া চোখের সামনে দেখতে পাওয়াটা খুবই উত্তেজনাপূর্ণ। কারণ, এর পরে কী ঘটতে চলেছে তা মানুষের জানা নেই। বিজ্ঞানীরা এই ঘটনার পিছনে কী কারণ থাকতে পারে, তাও এখনও খুঁজে বের করতে পারেননি। আপাতত এই রহস্য সমাধানের জন্য কাজ চলছে।

তবে যেটা তাঁদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে তা হল গ্যালাক্সির কেন্দ্র থেকে গরম গ্যাসের পাশাপাশি শীতল এবং খুব ঘন গ্যাসের নিঃসরণ। কারণ শীতল ধন গ্যাস খুব ভারী হয়, তাই তাদের ঠেলাঠেলি করে নড়ানোটা বেশ কঠিন। প্রচুর শক্তি লাগে। অন্যান্য ছায়াপথে অবশ্য এই ধরণের প্রক্রিয়াগুলি আকছার দেখতে পাওয়া যার বলে জানিয়েছেন ওই আন্তর্জাতিক গবেষক দলের সদস্যরা। কিন্তু, সেগুলির ক্ষেত্রে অনেক বেশি বড় ব্ল্যাকহোল থাকে, নক্ষত্র গঠনের ক্রিয়াকলাপ অনেক বেশি। তাই সেইসব ছায়াপথের পক্ষে কিছু মালপত্র ফেলে দেওয়াটাও অনেক সহজ। কিন্তু আকাশগঙ্গা ছায়াপথের ক্ষেত্রে এমনটা এর আগে হতে দেখা যায়নি।