সংক্ষিপ্ত

  • নতুন বছরের প্রথম দিনই নাম বদল
  • সরকারিভাবে ডাকনাম ছেঁটে ফেলল ইউরোপের একটি দেশ
  • এর জন্য খরচ করা হচ্ছে ১ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা
  • পর্যটক টানাই এর উদ্দেশ্য বলে জানা গিয়েছে

 

আরও একটা নতুন বছর পড়ল। স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন বদল ঘটছে। এরমধ্যে ইউরোপের আস্ত একটা দেশের নামও পাল্টে গেল। বা বলা ভালো ছেঁটে ফেলা হল দেশের ডাকনাম। এতদিন বহু মানুষই নেদারল্যান্ডস-কে ডাকতেন হল্যান্ড বলে। কিন্তু, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সরকারিভাবে হল্যান্ড নামটা বাতিল করল ডাচরা।

এদিন থেকে সমস্ত সংস্থা, দূতাবাস, মন্ত্রক, বিশ্ববিদ্যালয়-এর মতো প্রতিষ্ঠান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে 'হল্যান্ড' নামটি বাদ দেওয়া হল। এখন থেকে এই দেশটিকে শুধুমাত্র তার সরকারি নাম অর্থাৎ নেদারল্যান্ডস বলেই ডাকা হবে। সরকারি নথিপত্রেও আর হল্যান্ড নামটি ব্যবহার করা হবে না। এর জন্য নেদারল্যান্ডস 'রিব্র্যান্ডিং ক্যাম্পেন' চালাচ্ছে। ডাচ বাণিজ্যমন্ত্রী সিগ্রিড কাগ বেশ কয়েক মাস আগে ধরে দেশের নতুন লোগো 'এনএল'-এর উন্মোচন করেন। জানা গিয়েছে, এই ডাকনাম বাতিল করে সরকারি নাম চালু করতে ২ লক্ষ ইউরো অর্থাৎ প্রায় ১ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এতদিন অনেকেই ইউরোপের এই দেশকে হল্যান্ড নামেই চিনলেও হল্যান্ড আসলে নেদারল্যান্ডসের একটি বিশেষ অঞ্চলের নাম মাত্র। আমস্টারডাম, রটারড্যাম, হেগ-এর মতো বিখ্যাত ডাচ শহরগুলি এই অঞ্চলেই অবস্থিত। এর জন্যই এই নাম বিভ্রাট ঘটেছে।

নেদারল্যান্ডস সরকার জানিয়েছে টোকিও ২০২০ অলিম্পিকে অংশ নেওয়া এবং দেশে ইউরোভিশন সঙ্গীত প্রতিযোগিতা আয়োজন করার জন্যই এই ডাকনাম বাতিলের কাজ করা হচ্ছে। তবে জানা যাচ্ছে দেশের এই নতুন নামকরণে পেছনের আসল কারণ পর্যটকদের প্রলুব্ধ করা। এখন পর্যন্ত নেদারল্যান্ডস-এ আসা পর্যটকরা রাজধানি আমস্টারডাম ঘুরেই চলে যেতেন। ডাচ ট্যুরিজম বোর্ডের মতে, আমস্টারডামের স্থায়ী বাসিন্দার সংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ। আর সেখানে প্রতি বছর ১ কোটি ৭০ লক্ষ পর্যটক বেড়াতে আসেন। ফলে শহরে পর্যটকের ব্যাপক চা পড়ে। তার বাইরে দেশের অন্যান্য শহরেও যাতে পর্যটনকে ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তার লক্ষ্যেই এই নাম পরিবর্তন।