সংক্ষিপ্ত
মহামারিতে বেড়েছে অনাহারে থাকা মানুষের সংখ্যা
এই অবস্থায় দারুণ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে চলেছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি
এবারের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হল এই সংস্থাকেই
৩১৮ জন ব্যক্তি ও সংস্থার মধ্য থেকে এই সংস্থাকে বেছে নেওয়া হল
২০২০ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বা ওয়ার্ল্ড ফুট প্রোগ্রাম (ডাব্লুএফপি)-কে। শুক্রবার সকালে অসলো-র নোবেল ইনস্টিটিউটে এই কথা ঘোষণা করল নরওয়েইয়ান নোবেল কমিটি। এই বছর সম্ভাব্য নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপতদের তালিকায় নাম ছিল ৩১৮ টি। যার মধ্যে ছিলেন ২১১ জন ব্যক্তি এবং ১০৭ টি সংস্থা। নোবেল শান্তি পুরষ্কারের ইতিহাসে যা চতুর্থ বৃহত্তম সংখ্যা। অনেক জল্পনার পর শেষ পর্যন্ত গ্রেটা থানবার্দগদের পিছনে ফেলে ২০২০ সালের নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিকেই বেছে নেওয়া হল।
নোবেল পুরষ্কার কমিটির পক্ষ থেকে টুইটারে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে জানানো হয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি অনাহারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের যেসব জায়গায় দ্বন্দ্ব রয়েছে, সেইসব এলাকার শান্তি আসার পথকে সুগম করে। অনাহারকে যুদ্ধ ও দ্বন্দ্বের অস্ত্র করে তোলা আটকায় এই কর্মসূচি। এইসব কারণেই এই বছর শান্তি পুরস্কারের জন্য নরওয়েইয়ান নোবেল কমিটি ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামকে স্বীকৃতি জানালো।
ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম বস্তুত রাষ্ট্র সংঘেরই খাদ্য সহায়তা সংক্রান্ত শাখা সংস্থা। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি, খাদ্য সুরক্ষাকে শান্তির উপকরণ হিসাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বহুপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করে। যে কোনও যুদ্ধ ও সংঘাতের মূল কারণ ক্ষুধা। আর তার মোকাবিলা করে বিশ্বে শান্তি ফিরিয়ে আনার কাজে রাষ্ট্রসংঘের সদস্য রাষ্ট্রহুলিকে একত্রিত করার ক্ষেত্রে জোরালো অবদান রয়েছে এই সংস্থার।
অনেকেই মনে করছেন ২০২০ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হল চলমান মহামারির কথা মাথায় রেখে। নরওয়েইয়ান নোবেল কমিটি অনাহারের থাকা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষের দিকে বিশ্ব নাগরিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছেন এই স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। কোভিড-১৯ মহামারি পৃথিবীতে অনাহারের সমস্যা যে বাড়িয়ে তুলেছে, তা নতুন করে আর বলার কিছু নেই। এই অবস্থায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি দারুণ দক্ষতার সঙ্গে তাদের প্রচেষ্টা বহুগুণে বাড়িয়েছে। আর তারই স্বীকৃতি মিলল এই পুরস্কারে।