সংক্ষিপ্ত

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে জেরবার দক্ষিণ কোরিয়া

তারমধ্যেই জুটল নতুন আতঙ্ক কিম জং উন

সোমবার উত্তর কোরিয়া কমপক্ষে তিনটি রকেট নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি করা হল

এই নিয়ে গত দুই সপ্তাহের দ্বিতীয়বার এরকমটা ঘটাল পিয়ংইয়ং

 


চিন থেকে বিশ্বের ৯৫টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। তারমধ্যে ফের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় মাতলেন তত্তহ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রশাসনিক কর্তারা দাবি করেছেন, উত্তর কোরিয়া কমপক্ষে তিনটি 'অজানা বস্তু' নিক্ষেপ করেছে। এই নিয়ে গত দুই সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার কিম জং উন প্রশাসন এই ধরণের 'অজানা বস্তুর নিক্ষেপ' পরীক্ষা করল।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলের সোনডোক অঞ্চল থেকে কোরিয়া উপদ্বীপ এবং জাপানের মধ্যবর্তী সাগরে বেশ কয়েকটি স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের মতো অজানা বস্তু নিক্ষেপ করা হয়েছে। বস্তুগুলি সর্বাধিক ২০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত যেতে পারে এবং সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত উঠতে পারে বলে তারা সনাক্ত করেছে।

মাস দুই আগেও উত্তর কোরিয়াকে একি ধণের সল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করতে দেখা গিয়েছিল। গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কিম জং উনের শীর্ষবৈঠকের পর থেকে আন্তর্মহাদেশিয় পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা না করলেও উত্তর কোরিয়া বেশ কয়েকবার সল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। এইগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে না পারলেও সহজেই দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছে যেতে পারে।

এমনিতেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। তার মধ্যে পিয়ং ইয়ং-এর এই ক্ষেপণাস্ত্র মহড়ায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে সেখানে। সোমবার সিওল জানিয়েছে, তাদের সামরিক বাহিনী পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া-র শীতকালীন সামরিক মহড়ার অংশ হিসাবে রকেটগুলি ছোড়া হয়ে থাকতে পারে।

গত বছর প্রায় ১৩ বার ছোট পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছিল পিয়ংইয়ং। কিন্তু তারপরেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি। বলেছিলেন, এটা একেবারে স্বাভাবিক সামরিক মহড়া। কিন্তু এই রকেটগুলির পাল্লার মধ্যেই সিওল পড়ায় নিশ্চিন্ত হতে পারছে না দক্ষিণ কোরিয় প্রশাসন। করোনা আতঙ্কের মধ্য়েই গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো জুটেছে নতুন আতঙ্ক, কিম জং উন।