সংক্ষিপ্ত
সার্বিয়ায় নিযুক্ত পাকিস্তানি দূতাবাসের টুইটার হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে খোদ দূতাবাস কর্মীদের তরফেই।
ঘোরতোর আর্থিক সঙ্কটে(economic recession) পাকিস্তান(Pakistan)। দিন যত যাচ্ছে ততই খারাপ হচ্ছে পরিস্থিতি। এদিকে গত প্রায় তিন মাসের বেশি সময় ধরে বেতন পাচ্ছেন না সরকারি কর্মীরা। অন্যদিকে বিশ্ব ব্যাঙ্ক(World Bank), আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের(IMF) কাছেও কয়েক হাজার কোটির দেনার দায়ে ডুবে রয়েছে ইমরান(Imran Khan) সরকার। আর তাতেই ক্রমশ কঠিন হচ্ছে পরিস্থিতি। এদিকে এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে সরাসরি ইমরান সরকারের ব্যর্থতার দিকেই আঙুল তুলছেন পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ। বাড়ছে ক্ষোভ। এমতাবস্থায় এবার সার্বিয়ায় নিযুক্ত পাকিস্তানি দূতাবাসের(Pakistan Embassy Serbia) টুইটার(Twitter) হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। যাতে কৌতূকের আঙ্গিকে সরাসরি আক্রমণ করা হয়েছে ইমরান খানকে।
ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে খোদ দূতাবাস কর্মীদের তরফেই। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, মুদ্রাস্ফীতি আগের সমস্ত রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে, আপনি ইমরান খান কতদিন আশা করেন যে আমরা সরকারি কর্তারা চুপ করে থাকব। গত ৩ মাস ধরে বেতন না পেয়ে আপনার জন্য কাজ করব। ফি না দেওয়ার কারণে আমাদের বাচ্চাদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এটাই কি নয়া পাকিস্তান?" এদিকে এই ভিডিওটি ইতিমধ্যেই ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আলোচনও শুরু হয়েছে বিস্তর। খোদ পাক সরকারের দূতবাস থেকে এই ধরণের প্রতিবাদী পদক্ষেপ অতীতে নেই বললেই চলে। আর সেকারণেই পাক দূতাবাস কর্মীদের এই পদক্ষেপ এখন আন্তর্জাতিক মহলের মূল চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সহজ কথায় পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে তারা নিজেদের দূতাবাস কর্মীদের বেতন পর্যন্ত দিতে পারছে না। এদিকে গানের আঙ্গিকে সরাসরি ইমরানকে আক্রমণ করার পরেই ভিডিওটি নিয়ে ঝড় ওঠে পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহলেও। এমনকী পক্ষে বিপক্ষে উঠে আসতে থাকে একাধিক মত। চাপে পড়ে ইমরান সরকারও। এদিকে ভিডিওটি নিয়ে জোরদার চর্চা শুরু হতেই দূতাবাস কর্মীদের তরফে ফের আরও একটি টুইট করা হয়। যাতে লেখা হয়, "আমি দুঃখিত ইমরান খান। কিন্তু, এছাড়াও আমাদের আর কোনও পথ ছিল না।” এদিকে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা নিয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতি দিতে দেখা যায়নি ইমরান সরকারকে। তবে চাপ যে বাড়ছে তা স্পষ্ট। এদিকে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহলের ধারনা বিগত কয়েক বছর ধরে লাগাতার ভুল নীতি ও ভুল খাতে সরকারি টাকা অপচয়ের কারণেই আজ পাকিস্তান এই চরম সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে ইমরান সরকার।