সংক্ষিপ্ত
ইমরান খানকে দুবাই ও লন্ডন যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে সেনাবাহিনী। প্রতিবেশী দেশের সেনাবাহিনী বলেছে, ইমরান পাকিস্তান ত্যাগ করলে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করবে না সেনাবাহিনী।
পাকিস্তানে ইমরান খান ও সরকারের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। ইমরানকে ৯ মে আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় গ্রেফতার করা হয়, যদিও দুদিন পর জামিন পান তিনি। ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর বিক্ষোভকারীরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে টার্গেট করেছিল, যার কারণে সেনাবাহিনী ক্ষুব্ধ হয়েছিল। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সেনা আইনে মামলা করার করা হয়েছে। সূত্রের খবর, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ইমরান খানকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পাকিস্তান ছাড়ার প্রস্তাব দিয়েছে এবং বলেছে যে অন্যথায় তাকে সেনা আইনের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত থাকতে হবে। ইমরান খানকে দুবাই ও লন্ডন যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে সেনাবাহিনী। প্রতিবেশী দেশের সেনাবাহিনী বলেছে, ইমরান পাকিস্তান ত্যাগ করলে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করবে না সেনাবাহিনী।
ইমরান খান সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দেওয়া প্রস্তাব মানতে রাজি হননি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রধান। পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে কটূক্তির জবাব দিয়ে তিনি বলেন, যাই ঘটুক না কেন, তিনি পাকিস্তান ছাড়বেন না। কোনও ভাবেই নিজের দেশ ছেড়ে বিশ্বের অন্য কোনও দেশে গিয়ে আশ্রয় নেবেন না তিনি। এর জন্য যদি তাঁকে সেনা আইনের মুখোমুখি হতে হয়, তবুও তিনি দেশ ছাড়বেন না।
এর আগে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির ইমরান খানের সমর্থকদের খোলাখুলি হুমকি দিয়েছিলেন যে ৯ মে এর ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে আমরা সহ্য করব না। শিয়ালকোট গ্যারিসন সফরকালে তিনি এই বিবৃতি দেন, যেখানে তিনি শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে গিয়েছিলেন।
সেনা আইনে বিচারের অনুমতি
পাকিস্তানে দুই দিন আগে গ্রেপ্তার হওয়া বিক্ষোভকারীদের সেনা আইনে বিচারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দেশের যেকোনো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সেনাবাহিনীর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তান সেনাবাহিনী সরকারকে আর্মি অ্যাক্ট জারি করার কথা বলেছিল। আর্মি অ্যাক্ট অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট নামেও পরিচিত। এর সাহায্যে সেনাবাহিনী তার পক্ষ থেকে গ্রেফতারকৃত অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দিতে পারে। এর আওতায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান ও তার কর্মীদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যেতে পারে।
এদিকে, প্রাক্তন পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রতি সদয় পাকিস্তানের বিচার ব্যবস্থা। এই অভিযোগে দেশের ক্ষমতাসীন জোট সরকার সুপ্রিম কোর্টের বাইরে ধর্না বিক্ষোভ শুরু করেছে। জোট সরকারে অভিযোগ ইমরান খানকে সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে নিজেকে যাতে সে নির্দোষ প্রমাণ করেত পারে। পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজ (PML-N) , জামায়েত উলেমা -ই ইসলাম - ফৈজাল (JUI-F) ও পাকিস্তান পিপিসল পার্টি (PPP)র বিক্ষোভকারীরা রেড জোনে প্রবেশ করেছে। অন্যদিকে পাকিস্তান গণতান্ত্রি আন্দোলন (PDM)) সুপ্রিম কোর্টের সামনে একটি ধর্না মঞ্চ তৈরি করে সেখানেই বিচার বিভাগের প্রতি অসন্তোষ জানিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে।