সংক্ষিপ্ত

পাকিস্তানের পুলিশ জানিয়েছে, 'জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলামের (JUIF) স্থানীয় নেতা নূর ইসলাম নিজামিকে মিরানশাহের পাকিস্তান মার্কেটের কাছে অজ্ঞাত হামলাকারীদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।'

 

মঙ্গলবার পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার উত্তর ওয়াজিরিস্থানে জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম (JUIF) প্রথম সারির নেতা নূর ইসলাম নিজামিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পাকিস্তানের মিরানশাহের একটি বাজারের কাছে অজ্ঞাত পরিচয় হামলাকারীরা আক্রমণ করে। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। প্রশাসন সূত্রের খবর ঘটনাস্থলেই ধর্মীয় নেতা নিহত হয়।

পাকিস্তানের পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে জানিয়েছে, 'জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলামের (JUIF) স্থানীয় নেতা নূর ইসলাম নিজামিকে খাইবার পাখতুনখোয়ার উত্তর ওয়াজিরিস্তান উপজাতীয় জেলা মিরানশাহের পাকিস্তান মার্কেটের কাছে অজ্ঞাত হামলাকারীদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।'

পাকিস্তানে জামিয়ত উলেমা ই ইসলাম সাধারণত জেইউআই(এফ) নামে পরিচিত। এটি পাকিস্তানের একটি দেওবন্দি রাজনৈতিক দল। ১৯৪৫ সালে জমিয়ত উলেমা- ই- ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তবে ১৯৮৮ সালে এই দল বিভক্ত হয় যায়। তারপরই তৈরি হয় জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম। প্রথম নেতা ছিলেন ফজল -উর-রহম।

 

 

পাকিস্তানের সবথেকে বড় ধর্মীয় রাজনৈতিক দল হিসেবে এর উত্থান ২০২১ সালে। সেই সময় এই দলটি খাইবার পাখতুনখোয়া এবং উত্তর বেলুচিস্তানে যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল। পাশতুন অধ্যুষিত এলাকায় এই দলের কার্যকলাপ সীমাবদ্ধ ছিল। আফগানিস্তানের যুদ্ধে মুজাহিদিন দলগুলির প্রতি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জিয়া-ইল হক-এর সমর্থন নিয়ে দলটির মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হয়। তারপরই এই দল দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়।

অন্য দল, সামিউল হকের নেতৃত্বে জেইউআই-এস, খাইবার পাখতুনখোয়ায় আঞ্চলিক গুরুত্ব বাড়াতে থাকে। অতিরিক্ত বিভক্ত গোষ্ঠীগুলির মধ্যে রয়েছে জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম নজর্যাতি (JUI-N), যা ২০০৭ সালে আলাদা হয়ে যায় কিন্তু ২০১৬ সালে JUI (F) এর সাথে পুনরায় একত্রিত হয় এবং মুহাম্মদ খান শেরানীর নেতৃত্বে রাবিতা জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম, যা বিচ্ছিন্ন হয়। পাকিস্তনের নির্বাচন কমিশনে এই দল জামিয়ত -ই-ইসলাম নামে নথিভুক্ত রয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে এর পরিচিতি জাময়েত-ই-ইসলাম(এফ) নামে।

সম্প্রতি পাকিস্তানে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে একাধিক জঙ্গি নেতার। যার মধ্যে রয়েছে লস্কর ও জইন নেতারাও। তবে সেই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এখনও শেষ করেনি পাকিস্তান সরকার। প্রতিটিক্ষেত্রেই অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল জঙ্গি নেতাদের দেহ। এক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নই। যদিও পাকিস্তান প্রশাসন এখনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।