সংক্ষিপ্ত
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে ইমরান খানের বার্তা। তিনি বলেছেন,এই ভিডিও বার্তা যতক্ষণ আপনাদের কাছে পৌঁছে যাবে ততক্ষণ সরকার আমাকে গ্রেফতার করবে। আমি জেলে থাকব।
তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের আদালত। সঙ্গে এক লক্ষ টাকা জারিমানাও ধার্য করা হয়েছে। বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ার ঘোষণা করেছেন যে দুর্নীতির সঙ্গে ইমরান খান যুক্ত ছিলেন, এই বিষয়টি প্রমাণিত। আদালতের এই রায়ের কারণে আগামী পাঁচ বছরের জন্য রাজনীতিতে অযোগ্য হয়ে যাবেন ইমরান খান। কিন্তু এদিন রায় ঘোষণার আগেই একটি ভিডিও রেকর্ড করেন তিনি। সেটিতে তিনি তাঁর অনুগামী আর দলীয় কর্মীদের আশ্বস্ত করেছেন। পাশাপাশি তিনি যে গ্রেফতার হতে পারেন সেই কথাও তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি তাঁর গ্রেফতারির পরি অনুগামীদের কী কী করতে হবে তারও বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে ইমরান খানের বার্তা। তিনি বলেছেন, 'এই ভিডিও বার্তা যতক্ষণ আপনাদের কাছে পৌঁছে যাবে ততক্ষণ সরকার আমাকে গ্রেফতার করবে। আমি জেলে থাকব। তাই আমার আপনাদের কাছে আপনার একটাই আবেদন, এই সময় আপনারা ঘরে চুপ করে বসে থাকবে না। আমি যা করছে আপনাদের জন্য, দেশের জন্য আর আপনাদের সন্তানের ভালর জন্য করছি। আপনারা যদি এখন প্রতিবাদ না করেন তাহলে আপনাদের গোলামে পরিণত করা হয়। দাস-দের যেমন কোনও জীবন থাকে না তেমনই হয়ে যাবে আপনাদের জীবন। দাসদের অবস্থা মাটিতে থাকা জুতোর মত। তিনি আরও বলেন স্বাধীনতার জন্যই আমি সব কিছু করছি। আপনারা কোনও মানুষের সামনে মাথা নত করবেন না। স্বাধীনতা এমনই জিনিস প্লেটে রেখে দেওয়া হয় না। আমি বলি যে শিকল কখনও খুলে যায় না। তাকে ছিঁড়ে ফেলতে হয়। ' ইমরান খান আরও বলেন, ভোটের মাধ্যমেই দেশের মানুষকে যোগ্য দল আর যোগ্য ব্যক্তিকে নির্বাচন করতে হবে। নাহলে দেশ আর স্বাধীন থাকবে না। দেশ পরাধীন হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, লন্ডন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে আর একটি ধাপ বাকি রয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, দলের কর্মীরা যাতে শান্তিপুর্ণ, অবিচল আর শক্তীশালী হয়ে থাকুন। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর অনুগামীরা যেন দেশ ছাড়া আর কারও কাছে মাথা নত না করে।
পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে ইমরান খান এখনও পর্যন্ত ১৪০ টিরও বেশি মামলার মুখোমুখি হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, হিংসা, ধর্ম অবমাননা-সহ একাধিক সংবেদনশীল ইস্যুতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ২১ অক্টোবর ২০২২ সালে মিথ্য বিবৃতি ও ভুল ঘোষণা করার জন্য ইমরান খানকে অযোগ্য ঘোষণা করেছিল। তারপরই তোশাখানা ইস্যুটি জাতীয় রাজনীতিতে প্রধান স্টিকিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায়। বৃহস্পতিবারই এই মালার সওয়ালজবাব শেষ হয়। তারপরই পাকিস্তানের আদালত রায় সংরক্ষণ করে। এদিন রায় ঘোষণা করে ৭০ বছরের ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।