সংক্ষিপ্ত
গত তালিবানি আমলেও পঞ্জশির তালিবান দখলের বাইরেই ছিল। কিন্তু সেই দুর্গ কি এবার ভাঙতে বসেছে, সোমবারের সাম্প্রতিক ঘটা তেমনই ইঙ্গিত করছে।
আফগানিস্তানের পঞ্জশির একমাত্র প্রদেশ যেখানে তালিবানরা পা রাখতে পারেনি এতদিন। গত তালিবানি আমলেও পঞ্জশির তালিবান দখলের বাইরেই ছিল। কিন্তু সেই দুর্গ কি এবার ভাঙতে বসেছে, সোমবারের সাম্প্রতিক ঘটা তেমনই ইঙ্গিত করছে। আগে তালিবানদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন আহমেদ শাহ মাসুদ। এবার তালিবানদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁর ছেলে আহমেদ মাসুদ। কাবুল দখলের ২১ দিন পরেও তালিবানদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে রাখতে পেরেছেন তিনি।
তবে দ্রুত জমি হারাচ্ছে পঞ্জশির। ইতিমধ্যেই প্রতিরোধ বাহিনীর (Panjshir Resistance forces) তরফ থেকে সংঘর্ষবিরতি চুক্তির (ceasefire) ডাক দেওয়া হয়েছে। সংবাদসংস্থা এএফপি (news agency AFP) সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে প্রতিরোধ বাহিনীর মুখপাত্র ফাহিম দাস্তির মৃত্যুর পর মনোবল ভাঙছে বাহিনীর।
এএফপির রিপোর্ট অনুসারে, পঞ্জশির উপত্যকায় প্রতিরোধ বাহিনী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্য জানাচ্ছে, তালিবানদের সঙ্গে সংঘর্ষে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বাহিনী। ন্যাশনাল রেজিস্টেন্স ফ্রন্ট, এক বিবৃতিতে জানিয়েছে , তালিবানরা পঞ্জশির থেকে সরে যাক এবং বিনিময়ে বাহিনী সামরিক পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকবে।
পঞ্জশির প্রতিরোধ বাহিনীর অন্যতম নেতা আহমেদ মাসুদ জানিয়েছেন, তাঁরা তালিবানদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। এলাকায় শান্তি স্থাপন করতে ও নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে বলে প্রতিরোধ বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে এজন্য তালিবানদের পঞ্জশির এবং আন্দরব-এ হামলা ও সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে বলে শর্ত রেখেছে প্রতিরোধ বাহিনী।
এদিকে, রবিবারই জানা গিয়েছিল প্রতিরোধ বাহিনীর হাতে খতম হয়েছে কমপক্ষে ৬০০জন তালিবান যোদ্ধা। প্রতিরোধ বাহিনীর মুখপাত্র ফাহিম দাস্তি টুইট করেছেন পঞ্জশিরের বিভিন্ন জেলায় প্রায় ৬০০ জনেরও বেশি তালিবান যোদ্ধাকে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে। এক হাজারেরও বেশি তালেবান জঙ্গি ধরা পড়েছে বা আত্মসমর্পণ করেছে প্রতিরোধ বাহিনীর কাছে।