সংক্ষিপ্ত

পেরুর বামপন্থী রাষ্ট্রপতি কাস্তিলো টেলিভিষণ ভাষণে জানিয়েছেন তিনি নকুন মন্ত্রিসভা গঠন করতে চলেছে। কিন্তু একবারের জন্য পিন্টোর নাম উচ্চারণ করেননি। তবে সূত্রের খবর দলের একাংশের পাশাপাশি বিরোধীরাও পিন্টোকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন।

নিয়োগের মাত্র তিন দিন পরই রাষ্ট্রপতি বরখাস্ত করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রীকে। এই ঘটনা ঘটেছে পেরুতে (Peru)। পেরুর রাষ্ট্রপতি পেদ্রো কাস্তিলো (President Pedro Kastilio) জানিয়েছেন, 'আমি মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।' যার রাষ্ট্র দেশের প্রধানমন্ত্রী হেক্টর ভ্যালোর পিন্টো (PM Pinto) তাঁর পদ থেকে বাদ পড়েছেন। কিন্তু কী এমন হল যে নিয়োগের মাত্র তিন দিন পরই বাদ দেওয়া হল প্রধানমন্ত্রীকে। 

পেরুর বামপন্থী রাষ্ট্রপতি কাস্তিলো টেলিভিষণ ভাষণে জানিয়েছেন তিনি নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করতে চলেছে। কিন্তু একবারের জন্য পিন্টোর নাম উচ্চারণ করেননি। তবে সূত্রের খবর দলের একাংশের পাশাপাশি বিরোধীরাও পিন্টোকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। তাঁর প্রধানমন্ত্রী নিয়োগে আপত্তি জানিয়েছিলেন মন্ত্রিসভার সদস্যরাও। কিন্তু তখন তাতে কেন রাষ্ট্রপতি গুরুত্ব দেননি তা ্অবশ্য কিনি স্পষ্ট করেননি। তিনি শুধুমাত্র জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

সূত্রের খবর পিন্টোর বিরুদ্ধে গৃহস্থ হিংসার অভিযোগ রয়েছে। ২০১৬ সালে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। ৬২ বছরের পিন্টোর বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে স্ত্রী গৃহস্ত হিংসার অভিযোগ দায়ের করেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর সঙ্গে পিন্টোর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলেও অভিযোগ উঠেছিল।স্ত্রী ও প্রেমিকা দুজনেই অভিযোগ দায়ের করেছিল। তবে সেই মামলার জল কতদূর গড়িয়েছে তাও স্পষ্ট করেনি স্থানীয় প্রশাসন।  

অন্যদিকে মাত্র ৬ মাস আগে ক্ষমতা দখল করেছিলেন কাস্তিলো। এই ৬ মাসের মধ্যে এই নিয়ে তিনি ৪ বার মন্ত্রিপরিষদ গঠন করেছেন ও তা ভেঙে দিয়েছেন। বারবার মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়ার দেশের শাসন ব্যবস্থায় অরাজকতা তৈরি হচ্ছে বলেও দেশের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযগো।  তবে বৃহস্পতির পিন্টোকে সরিয়ে দেওয়ার আগে স্পিকার তাঁকে পদত্যাগ করতে বলেছিলেন। তিন জন মন্ত্রীও তাঁকে সরে যেতে বলেছিবলেন। দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানিয়েছিলেন এজাতীয় কাজে অভিযুক্তদের কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা ঠিক নয়। তবে পিন্টোও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, তিনি বলেছেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাঁকে সরানো হয়েছে। তিনি কোনও দিনই গৃহস্থ্য হিংসায় অভিযুক্ত ছিলেন না। তাঁকে ফাঁসান হয়েছে বলেও দাবি পিন্টোর। সূত্রের খবর পিন্টো আরও কিছুদিন প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন যতদিন না কংগ্রেসের অধিবেশন হয় ততদিন তাঁকে যেন সরিয়ে না দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁর সেই কথায় গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। 

ভারতীয় গোয়েন্দাদের জালে আবু বকর, ১৯৯৩এর মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী

Facebook Live: ফেসবুক লাইভে অঝোরে কান্না, কথা বলতে বলতে আত্মহত্যা ব্যবসায়ীর

মার্কিন-চিন দ্বন্দ্ব আবারও বাড়তে পারে, মার্কিন হাউসে পাশ ' চিন প্রতিযোগিতা' বিল