সংক্ষিপ্ত

আবু মহসিন খানের বাড়ি বাংলাদেশ। ৫৮ বছরের ব্যবসায়ী ঢাকার ধানমাণ্ডিরএকাই থাকতেন। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত। কিন্তু একটাসময় তাঁরও ভরা সংসার ছিল। স্ত্রী,পুত্র, কন্যা- সকলে নিয়েই ছিল তাঁর সংসার। কিন্তু এখন তিনি এক। ছেলে তাঁর মা অর্থাৎ আবুর স্ত্রীকে নিয়ে থাকে সুদূর অস্ট্রেলিয়া।


ফেসবুক লাইভে (Facebook Live)এসেছিলেন। বলছিলেন নিজের মনের কথা। দুঃখ আর একাকীত্বের কথাও বলেছিলেন ফেসবুকের বন্ধুদের। সেই সময় তিনি আত্মহত্যার কথাও বলেছিলেন। কিন্তু তারপরেও বাঁচানো যায়নি বাংলাদেশের (Bangladesh) ব্যবসায়ী (Businessman) আবু মহসিন খানকে (Abu Mohsin Kahan)। নেটিজেনদের কথায় সবমিলিয়ে তিনি ১৭ মিনিট ফেসবুক লাইভে ছিলেন। সেই সময়ই আত্মহ্যতার কথাও বলেন তিনি। কিন্তু আত্মহত্যার কথা বলার পরেও ১০ মিনিট ফেসবুক লাইভে চিলেন। কিন্তু পুলিশ যখন তাঁর বাড়িতে যায় তখন সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু ভালোকরে সাজানো রয়েছে শেষশয্য়া।

আবু মহসিন খানের বাড়ি বাংলাদেশ। ৫৮ বছরের ব্যবসায়ী ঢাকার ধানমাণ্ডিরএকাই থাকতেন। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত। কিন্তু একটাসময় তাঁরও ভরা সংসার ছিল। স্ত্রী,পুত্র, কন্যা- সকলে নিয়েই ছিল তাঁর সংসার। কিন্তু এখন তিনি এক। ছেলে তাঁর মা অর্থাৎ আবুর স্ত্রীকে নিয়ে থাকে সুদূর অস্ট্রেলিয়া। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। তিন্তু তাঁর সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা কোনও যোগাযোগ রাখে না। তাই তাঁর আশঙ্কা ছিল- তিনি মারা গেলেও কেউ জানবে না। সেকথা বলতে বলতেই এদিন ফেসবুক লাইভে অঝোরে কেঁদেছেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন নিজের ব্যবসা তিনি ভালোভাবে চালাতে পারেননি। যার জন্য তার আফসোস ছিল। অনেকেই তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলেও অভিযোগ তাঁর। যাঁরা আবুর ফেসবুক লাইভে ছিলেন তাঁরা জানিয়েছেন, চূড়ান্ত হতাশা গ্রাস করেছিল ব্যবসায়ীকে। সঙ্গী ছিল প্রবল একাকীত্ব। সেই থেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তিনি।

ফেসবুক লাইভে অনেকেই  বলেছেন আবু যেন আত্মহত্যা না করে। অনেকেই তাঁকে সঙ্গ দেবেন বলেও বলেছিলেন। অনেকে তাঁকে বুঝিয়েছেন এভাবে নিজের জীবন শেষ করে দেওয়া ঠিক না। বাঁচা মানে চ্যালেঞ্জ। একটা লড়াই। যাইহোক- সেসব কথায় কান দেননি আবু। 

কিন্তু ফেসবুক লাইভ থেকেই পুলিশ আবুর বাড়ির ঠিকানা জানতে পারে। রওনাও দেয়। কিন্তু যখন বাড়িতে ঢোকে তখন পুলিশ দেখে দরজা খোলাই রয়েছে । একটি সাদা কাগজে ঘরে ঢোকার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। ঘরে নিথর অবস্থায় পড়ে রয়েছে অবুর দেহ। পাশে রয়েছে একটি সাদা কাপড়। সেই কাপড়ে মুড়েই শেষশয্যা সাজানোর নির্দেশের পাশাপাশি কোথায় শেষকৃত্য হবে তারও নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন আবু। সবঠিক করেই আত্মহত্যা করেছেন আবু। যা অবাক করেছে পুলিশকেও।

আমলার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক স্বপ্না সুরেশ, সোনা পাচারকাণ্ড নিয়ে তোপ IAS M Sivashankar-র বিরুদ্ধে

Assaduddin Owaisi on Z Security: জেড নিরাপত্তা ফেরালেন ওয়াইসি, দাবি UAPA ধারায় মামলা

Municipal Election 2022: তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভ, শুভেন্দু ঘনিষ্ঠদের প্রার্থী করার অভিযোগ