সংক্ষিপ্ত
- শিকার করার বন্দুক নিয়ে পোজ পাকমন্ত্রীর
- হুমকি ভারতীয় সেনা প্রধানকে
- পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করতে এলে তিনি দেখে নেবেন
- হাস্য়কর এই পোস্টকে ঘিরে দিনভর খোরাক পাকমন্ত্রী
ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তিনি একাই লড়বেন বন্দুক নিয়ে। তা-ও আবার শিকার করার বন্দুক। তাই বন্দুক বাগিয়ে পোজ দিয়েছেন তিনি। অপেক্ষা করছেন, কখন আসবে সেনাবাহিনী।
তারপর? সেই ছবি পোস্টও করেছেন সোশাল মিডিয়ায়। আর তারও পর, বেজায় ট্রোলড হয়েছেন।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের তথ্য় মন্ত্রী মুস্তাক মিনহাসের এই কাণ্ড দেখে নেটিজেনরা যত-না ক্ষুব্ধ হয়েছেন,তার থেকে বেশি বিস্মিত। নেটিজেনদের কাছে কার্যত হাসির খোরাক হয়েছেন তিনি। তবে আচমকা কেন নিজেকে এমন হাসির খোরাক করে তুললেন এই পাকমন্ত্রী, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সম্প্রতি, ভারতের সেনা প্রধান এমকে নারবানে পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখলের প্রসঙ্গ তোলেন। নারবানে বলেন, সরকার সবুজ সঙ্কেত দিলেই সেনাবাহিনী পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করতে অভিযান করবে। আর তারই পাল্টা দিতে নারবানেকে কার্যত চ্য়ালেঞ্জ জানিয়েছেন ওই পাকমন্ত্রী। তাই, ভারতীয় সেনাবাহিনী তাঁর এলাকা দখল করতে এলে তিনি যে একাই একশো, তা বোঝাতে স্পোর্টস শ্য়ু পরে টুইটারে ওই হাস্য়কর পোস্ট করেছেন মুস্তাক মিনহাস।
প্রসঙ্গত, ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। কেন পাকিস্তানের দখলে থাকবে ভারতের ওই অংশ, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। অন্য়দিকে, পাল্টা প্রশ্ন উঠেছে, কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য় অংশ কিনা, তা নিয়েও।
এই পরিস্থিতিতে বছরের গোড়াতে দেশের নতুন সেনা প্রধান হন নারবানে। সেনা প্রধান হওয়ার কয়েকদিনের মাথায় তিনি পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য় করে বলেন যে, সরকার সবুজ সঙ্কেত দিলেই সেনাবাহিনী পাক ওই অংশ দখল করতে অভিযান করবে।
এদিকে নারবানের ওই মন্তব্য়ের প্রেক্ষিতে যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি হয়। সংসদে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী নারবানেকে কথা কম বলে কাজ বেশি করার পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে ১৯৯৪ সালে সংসদে এই প্রস্তাব পেশ করা হয়। তাই এ নিয়ে সেনা প্রধানের অহেতুক বাজার গরম করার কোনও দরকার নেই।